ড. ইউনূস বললেন তাঁকে বিদ্বেষের কারণে অপসারণ করা হয়েছে
৩ মার্চ ২০১১ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাকে বিদ্বেষের কারণে অপসারণ করা হয়েছে৷ আর অর্থমন্ত্রী বলেছেন তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷ মন্ত্রীর দাবি, সরকার কোন অন্যায় করেনি৷
রিটের শুনানি শেষ হয় বিকেল ৫টার পর৷ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আন্তর্জাতিকখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন৷ তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০০১ সালে ড. ইউনূসকে অনির্ধারিত মেয়াদের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়৷ তাই তার ক্ষেত্রে বয়স সীমা ৬০ বছর প্রযোজ্য নয়৷ তাকে বেআইনিভাবে অপসারণ করা হয়েছে৷
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বয়স ৬০ বছর পার হয়ে যাওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকার যোগ্য নন৷ তাকে আইন মেনেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷
শুনানির সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন৷ তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক কারুর নিজস্ব সম্পদ বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়৷ জনগণের প্রতিষ্ঠান৷ সম্মানজনকভাবেই সবকিছু হওয়া উচিত ছিল৷
এদিকে আজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিদেশী কুটনীতিকদের কাছে ড. ইউনূসকে অব্যাহতির বিষয়টির ব্যাখা দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন সরকার কোন অন্যায় করেনি - যা করেছে আইন মেনেই করেছে৷ তিনি বলেন, এজন্য কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা৷
বৈঠক শেষে ঢাকায় মার্কিন দূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধানের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিকদের৷ তার মতে এটি বাংলাদেশ সরকার এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস উভয়ের জন্যই ভাল হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন ডয়চে ভেলে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক