1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

১৮ নভেম্বর ২০২২

সাবেক এই দুঁদে আমলা এক সময় মনমোহন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন নরেন্দ্র মোদীর 'দ্য ম্যান অফ আইডিয়া'।

https://p.dw.com/p/4Jize
কলকাতা রাজভবন
ছবি: Prabhakar Mani Tewar/DW

কেরালার বাসিন্দা সিভি আনন্দ বোস পদবীতে বোস হলেও আদতে তিনি বাঙালি নন। বোস সম্ভবত তার পদবী নয়, নাম। আমলা মহলে অত্যন্ত বিচক্ষণ বলে পরিচিত এই ব্যক্তি, তার কাজের জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সিভি আনন্দকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ভরসা করেন তার উপর। তার দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী সব বাড়ি পাকা করার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

শুধু কেন্দ্রেই নয়, একাধিক রাজ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সিভি আনন্দ। মেঘালয় সরকারের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। কেরালায় একাধিক দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। কেরালা সরকারের পরামর্শদাতাও হয়েছেন। সেই সিভি আনন্দকে এবার পাঠানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যে দিন থেকে তিনি দায়িত্ব নিতে চান, সেদিন থেকেই নিতে পারেন। অর্থাৎ, দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ সিভি-র হাতেই ছেড়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন।

ভারতে যে কোনো রাজ্যের রাজ্যপাল একটি আলঙ্কারিক পদ। কিন্তু সময় সময় সেই পদটিও গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি। বিতর্ক হয়েছে। রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে, ধনখড় সমান্তরাল প্রশাসন তৈরির চেষ্টা করছেন। আবার বিরোধী দল বিজেপি ধনখড়ের কাছে বার বার গেছে। সাবেক বিজেপি নেতা ধনখড় পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিতর্ক তৈরি করেছেন। তার আগে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে রাজ্যপাল হিসেবে বিতর্ক তৈরি করেছেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গে তখন বামেরা ক্ষমতায়।

রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হয়। প্রশ্ন হলো, সিভি আনন্দ কি সেই রাস্তায় হাঁটবেন? কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। শেষবার পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল ঝামেলা হয়েছিল। শাসক দল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিল, তারা পঞ্চায়েত ভোটে অনৈতিক কাজ করেছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও পারদ চড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সিভি-র মতো দুঁদে আমলা রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সিভি আনন্দ রাজ্য প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)