1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেবাঞ্জন-কাণ্ডে জড়ালো রাজ্যপালের নাম

২ জুলাই ২০২১

ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ডে আটক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি প্রকাশ করল তৃণমূল।

https://p.dw.com/p/3vv4n
জগদীপ ধনখড়
ছবি: Prabakhar/DW

দেবাঞ্জন কাণ্ডে এবার জড়িয়ে গেল রাজ্যপালের নাম। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ডে আটক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি আছে। ফলে দেবাঞ্জনের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের যোগাযোগ ছিল বলেই তাদের ধারণা।

ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গে। জনৈক দেবাঞ্জন নিজেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলে দীর্ঘদিন পরিচয় দিয়েছেন। ভুয়া পরিচয় নিয়ে তিনি দিনের পর দিন বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। সেই সূত্রেই ভুয়া করোনা ভ্যাকসিনের ক্যাম্প খোলেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী টিকা নেন। তারপরেই ভুয়াচক্রের বিষয়টি সামনে আসে।

গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনতে শুরু করে বিজেপি। এবার তার পাল্টা দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, রাজ্যপালও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। কারণ, আটক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দের সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি পাওয়া গেছে। যেখানে রাজ্যপালের গোটা পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কথায় অসঙ্গতি আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সুখেন্দু অভিযোগ করেছেন, ওই দেহরক্ষীর মাধ্যমে দেবাঞ্জনের কাছে খাম যেত বলে তার কাছে খবর আছে। তবে সেই খামে কী ছিল, তা স্পষ্ট করে বলেননি সাংসদ। এ বিষয়ে রাজ্যপালও এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে, দেবাঞ্জন মামলায় নাক গলিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে ইডি এই তদন্ত করছে। কারণ, তদন্তের দায়িত্ব এখন রাজ্য পুলিশের হাতে। রাজ্য ইডি-র সাহায্য চায়নি। ইডি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে এর ভিতর ঢুকেছে। ইডি আদৌ কি তা করতে পারে?

কেন্দ্রীয় কোনো সংস্থা রাজ্যের কোনো মামলায় তখনই তদন্ত করতে পারে, যখন রাজ্য অথবা আদালত তা চায়। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তার বক্তব্য, ইডি যেহেতু অর্থ তছরুপের বিষয় নিয়ে কাজ করে, তারা স্বতঃপ্রমোদিত ভাবেও তদন্ত করতে পারে। ফলে এক্ষেত্রে ইডির তদন্ত অবৈধ নয়। তবে সাধারণত, এভাবে রাজ্যের কোনো বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা নাক গলায় না বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)