হংকঙে ১৪জন গণতন্ত্রপন্থি কর্মী দোষী সাব্যস্ত
৩০ মে ২০২৪বাকি দুই অভিযুক্ত নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার হংকঙের উচ্চ আদালত ১৪জনকে ‘নাশকতার' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে৷
দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য লিয়ুং কুয়োক-হুং, লাম চিউক-টিং, হেলেনা উয়োং ও রেমন্ড চান৷ দুজন সাবেক জেলা কাউন্সিলর লি ইয়ুয়ে-শুন ও লরেন্স লাউ নির্দোষ প্রমাণিত হন৷
২০২১ সালে, ‘হংকং ৪৭' নামে পরিচিত এমন ৪৭জন বিক্ষোভকারী ও অ্যাক্টিভিস্টকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় ‘বিদ্রোহের চক্রান্ত' বিষয়ক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়৷
এর মধ্যে ১৬জন গোটা মামলা চলাকালীন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন৷ বাকি ৩১জন তুলনামূলকভাবে হালকা শাস্তির আশায় দোষ স্বীকার করে নেন৷
দোষী সাব্যস্ত হলেন যারা, তাদের তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে৷ এ বছরের শেষে সাজা শোনানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
যা বললেন বিচারক
বিচারক অ্যান্ড্রু চ্যান, অ্যালেক্স লি ও জনি চ্যান এক বিবৃতিতে নিজেদের রায়ের সারমর্ম তুলে ধরেন৷ সেখানে বলা হয়, ‘‘১৪জন অভিযুক্তের লক্ষ্য ছিল ‘একই সাথে মুখ্য আধিকারিক ও সরকারের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পতন'', যা তাদের মতে, ‘‘হংকঙে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে পারতো৷’’
হংকঙে গণতন্ত্রের আন্দোলন ও চীনের ভূমিকা
২০১৯ সালে বেইজিং জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করার চেষ্টা করলে হংকঙে ব্যাপক আকারে গণ আন্দোলন শুরু হয়৷ গণতন্ত্রপন্থিদের মতে, এই আইন সেই সব স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, যা ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হবার সময়ে নিশ্চিত করা হয়৷
২০২০ সালের জুলাই মাসে নির্বাচনের আগে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বাড়তে থাকে টানাপোড়েন৷ সরকারপক্ষের মতে এই প্রস্তাবের সাহায্যে সরকারকে ‘পঙ্গু' করে দিতে চায় এই আন্দোলন৷
কিন্তু গণতন্ত্রপন্থিরা বলেন যে এটি আসলে শহরের নির্বাচনে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের সাধারণ প্রচেষ্টা ছিল মাত্র৷
এই মামলার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের৷ অভিযোগ ওঠে যে এই মামলার কাজে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ছোঁয়া রয়েছে৷ তা খতিয়ে দেখতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কূটনীতিকরা শুনানির সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷
এই পশ্চিমা প্রতিনিধিদের দাবি, অবিলম্বে সকল অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হোক৷
এসএস/এসিবি (এপি, রয়টার্স)