হংকং, মেক্সেকিতে একাদশ গে গেমস
৭ নভেম্বর ২০২৩গে গেমস হলো এলজিবিটিকিউপ্লাস মানুষদের অংশগ্রহণে অনু্ষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা৷ ফেডারেশন অব দ্য গে গেমস (এফজিজি) চার বছর পর পর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে৷
এক বিবৃতিতে এফজিজি জানায়, এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং এলজিবিটিকিউপ্লাস গোত্রের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বাড়ানো৷ গে গেমসের উদ্দেশ্য হলো, এই গোত্রের মানুষের প্রতি সম্মান ও তাদের বিষয়ে বোঝাপড়া বাড়ানো৷
‘বৈচিত্র্যে একতা' নামে আয়োজিত গে গেমস হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলা, শিল্প ও সংস্কৃতির সমাবেশ যা একাত্মতাকে ধারণ করে বলে জানায় সংস্থাটি৷
১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানিসকোতে প্রথম গে গেমসের আয়োজন করা হয়৷ যুক্তরাস্ট্রের বিখ্যাত অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ টম ওয়াডেল ও সমমনা কয়েকজন গে গেমসের উদ্যোক্তা৷ এরপর স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ক্রীড়া আসরের আয়োজন হয়ে আসছে৷
একাদশ গে গেমসের আসরটি মূলত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে হংকংয়ে অনুষ্ঠি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু কোভিড এর কারণে তা চলতি বছরের ৩ নভেম্বর থেকে হংকং এবং মেক্সিকোর গুয়াদালাজারায় শহরে শুরু হয়েছে ৷ ১১ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলবে৷ প্রথমবারের মতো এশিয়া এবং ল্যাটিন অ্যামেরিকার কোনো দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গে গেমস৷
আনন্দিত ক্রীড়াবিদেরা
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে ডয়চে ভেলেকে মেক্সিকোর ট্রান্সজেন্ডার ফুটবলার নোয়েমি আরযাতে বলেন, ‘‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ৷ প্রথমত, আমরা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাচাই করতে পারছি৷ দ্বিতীয়, নতুন সংস্কৃতির দেখা পাচ্ছি, নতুন মানুষের সাথে মিশতে পারছি, তাদের বিষয়ে জানতে পারছি৷''
হংকংয়ের সমালোচনা!
হংকংয়ে সমলিঙ্গের মানুষের সম্পর্ক বৈধ হলেও তাদের মধ্যে বিয়ে এখনো স্বীকৃত নয়৷ তাছাড়া এলজিবিটিকিউপ্লাস গোত্রের লোকেদের সুরক্ষায় কোনো বিশেষ আইনও নেই৷ এই পরিস্থিতে হংকংয়ে এমন খেলার আয়োজন নিয়ে নানা আলোচনা, সমালোচনা চলছে৷
গেমস কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, আমরা বিশ্বাস করি প্রথমবারের মতো এখানে (হংকংয়ে) এমন আয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং বিশ্বের সবার জন্য একটি মাইলফলক৷ গে গেমস হংকং খেলাধুলা, সততা, সম্মান এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে আমাদের একত্র করতে পারে৷
আয়োজকদের ধারণা, এশিয়াতে প্রায় ২২ কোটি এলজিবিটিকিপ্লাস মানুষ রযেছেন৷ সমাজে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা পেতে প্রতিনিয়তই লড়ছেন তারা৷
ডেভিড পোরহোল্ট/আরআর