সীমিত সংস্কারের পক্ষে ইইউ নেতারা
২৯ অক্টোবর ২০১০সম্মেলনে মূল ইস্যু সংস্কার
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের শীর্ষনেতারা দু'দিনের আলোচনায় বসেছেন ব্রাসেলসে৷ বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল লিসবন চুক্তির সংস্কারের নানা দিক তুলে ধরেন৷ প্রথম দিনের বৈঠক শেষে কূটনীতিকদের বরাতে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ইইউ নেতারা লিসবন চুক্তির কিছু পরিবর্তন আনতে সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন৷ তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত এখনো কিছু পাওয়া যায়নি৷
সংস্কার চায় জার্মানি এবং ফ্রান্স
মূলত গ্রিসের বাজেট ঘাটতির মতো সংকট আবারো যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় জার্মানি৷ কেননা, এধরণের ঘাটতি একক মুদ্রা ইউরো-র জন্য বড় হুমকি৷ ম্যার্কেল বলেন, আমাদের এমন একটি পন্থা বের করা উচিত, যেখানে ব্যাংক এবং ঋণভাণ্ডারের মতো উচ্চ সুদের মুনাফা আয়কারীরাও থাকবে৷ সেক্ষেত্রে শুধু করদাতারাই আর এককভাবে দায়িত্ব নেবেনা৷
শুধু তাই নয়, ইইউ'র স্থিতিশীলতা আর উন্নতির চুক্তি ভঙ্গকারী দেশগুলোর জন্য ম্যার্কেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি কঠিন শাস্তির পক্ষে৷ এতে করে ইইউ সদস্য দেশগুলো বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপি'র তিন শতাংশের মধ্যে রাখতে বাধ্য হবে৷
কঠোর শাস্তির প্রস্তাব
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখতে ব্যর্থ সদস্যদেশগুলোর ওপর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা, এমনকি ইইউ মন্ত্রী পরিষদে তাদের ভোটাধিকার বাতিলের পক্ষে ম্যার্কেল এবং সার্কোজি৷ তবে, জার্মানি আরো কঠোর শাস্তির পক্ষে ছিল৷ কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতার খাতিরে আপাতত এতেই সন্তুষ্ট ম্যার্কেল৷
এখানে বলে রাখা উচিত, এবছরের শুরুতে গ্রিসের বাজেট ঘাটতি কাটাতে বড় অঙ্কের সহায়তা করতে হয়েছে জার্মানিকে৷ কিন্তু বর্তমান লিসবন চুক্তির আওতায় এরকম সহায়তা আর করতে চাইছেনা দেশটি৷ কেননা, জনসাধারণ এর পক্ষে নয়৷ তাই প্রয়োজনে লিসবন চুক্তির সংস্কারের পক্ষেও জার্মানি৷
সংস্কারের পক্ষে নয় অনেকে
ইইউ বৈঠকে জার্মানি এবং ফ্রান্সকে রীতিমত একঘরে করে ফেলেছে অন্যদেশগুলো৷ বিশেষ করে বাজেট ঘাটতিতে থাকা কিংবা ঘাটতির আশঙ্কায় থাকা দেশগুলো বড়ধরণের আর্থিক সংস্কারের বিপক্ষে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই