তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ প্রশ্নে গণভোটের দাবি
২৪ অক্টোবর ২০১০কট্টর-ডানপন্থীদের বৈঠক
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপের বেশকিছু কট্টর-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল বৈঠকে বসে৷ মূলত ইইউতে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে৷ কট্টরপন্থীরা চাইছে, এই বিষয়ে ইউরোপের সাধারণ মানুষের মতামত নিতে৷ যাকে বলে গণভোট৷ দু'দিনের বৈঠক শেষে অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির প্রধান হাইন্স ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাশে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি ইউরোপের বাইরের দেশকে সদস্য করে, তাহলে ইউরোপ ভুল পথে চালিত হবে৷
তিনি বলেন, তুরস্কের যোগদানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটবে এবং ইউরো-এশিয়ান-আফ্রিকান ইউনিয়নের সূচনা হবে৷ যা ইউরোপের শান্তির পরিপন্থী এবং এটা কোনভাবেই অনুমোদন দেয়া যায়না৷
গণভোট
লিসবন চুক্তি যা ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর, সেই চুক্তি অনুযায়ী এধরণের গণভোট আয়োজন সম্ভব৷ কিন্তু এজন্য ইইউ'র বেশকিছু সদস্য রাষ্ট্রের কমপক্ষে দশ লাখ জনসাধারণের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ তবে, এধরণের গণভোট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি এখনো আইনে রূপ নেয়নি৷ তাছাড়া বেশকিছু রাষ্ট্র বলতে ঠিক কতটি দেশ বোঝায় তাও পরিষ্কার নয়৷
তুরস্কের সাংবিধানিক সংস্কার
কট্টর-ডানপন্থীদের বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা তুরস্কের কোন মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি৷ তবে, তুরস্কের সাংবিধানিক সংস্কারের দিকে আপাতত নজর দিচ্ছে ইইউ৷ এরকম এক খবর প্রকাশ করেছে তুর্কি বার্তাসংস্থা অ্যানাটোলিয়া৷ ইইউ'র সম্প্রসারণ বিষয়ক প্রধান স্টেফান ফুলির বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানাচ্ছে, তুরস্কের সংবিধানে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গিতপূর্ণ হতে হবে৷ শুধু তাই নয়, তুরস্ককে সাংবিধানিকভাবে বাক স্বাধীনতারও স্বীকৃতি দিতে হবে৷ বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর কোন চাপ রাখা যাবেনা৷ শনিবার ইস্তানবুলে এক বৈঠকে একথা বলেছেন ফুলি৷
এখানে বলা প্রয়োজন, সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ ইইউ'র জন্য এক বড় ইস্যু৷ এই বিরোধ মীমাংসা না করলে তুরস্কের পক্ষে ইইউতে যোগদান দুরূহ হবে৷ তাছাড়া জার্মানি এবং ফ্রান্সও সেদেশকে পূর্ণ সদস্যপদ দেবার বিরোধী৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই