শহীদ রুমীর জন্মদিনে ব্লগারদের শুভেচ্ছা
২৯ মার্চ ২০১৩যার নামে এই স্কোয়াডের নাম সেই রুমীর জন্মদিন শুক্রবার৷ ১৯৫১ সালের ২৯ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন৷ পুরো নাম শাফী ইমাম রুমী৷ মা জাহানারা ইমাম৷
সামহোয়্যার ইন ব্লগে ‘রুদ্র মানব' রুমীকে ‘নতুন প্রজন্মের আইডল ও গর্ব করার মত এক বীর' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
তিনি লিখেছেন ১৯৭১ সালে ২০ বছর বয়সি রুমী যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'-তে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন৷
এই ব্লগার লিখেছেন, রুমী ছিলেন শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের জেষ্ঠ্য পুত্র৷ জাহানারা ইমাম রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি' গ্রন্থে রুমীকে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা যায় এবং তাঁর মৃত্যুর জন্য জাহানারা ইমাম শহীদ জননী উপাধি পান৷
রুদ্র মানব বলছেন, যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে রুমী ধারাবাহিকভাবে তাঁর মা ও বাবাকে নিজের যুদ্ধে যাবার ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করেন৷ অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল মাকে রাজি করাতে সক্ষম হন৷
এরপর তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধের সময় রুমীর কিছু সাহসি ভূমিকার উল্লেখ করেছেন৷ ‘‘....১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট রুমী তাঁর নিজের বাড়িতে কাটান এবং এই রাতেই বেশকিছু গেরিলা যোদ্ধার সাথে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন৷''
আমার ব্লগ-এ ব্লগার ‘কাতুকুতু রানী' রুমীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন৷ তাতে শাহবাগে চলমানরত আমরণ অনশনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি৷ ‘‘তোমার জীবিত শেষ জন্মদিনে পুরো দেশ এক হতাশাভরা অনিশ্চিত আতঙ্কে ছিল৷ আজো দেশ এমন এক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ তোমার শহীদ হওয়ার জন্য দায়ী কিছু দেশি পশুরা এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে তুমি কোনো চিন্তা কোরো না৷ তখন যেমন তোমাদের মতো কিছু বিচ্ছু দেশের জন্য সব ছেড়েছুড়ে দিয়েছিলে তেমনি এখনকার কিছু বিচ্ছুও সব ছেড়ে বসে গেছে৷ দেশকে জঞ্জালমুক্ত না করে ওরা উঠবে না....ইতি তোমার লজ্জিত বোন৷''