আমৃত্যু অনশনের অঙ্গীকার
২৭ মার্চ ২০১৩শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ, সাংস্কৃতিক সংগঠন বোধন ও প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশনের আয়োজক ‘আম জনতা' ইতিমধ্যে ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড'এর কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে৷ এছাড়া ফেসবুক, ব্লগ এবং টেলিফোনেও অনেকে তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানালেন সংগঠনের মুখপাত্র সেঁজুতি শোণিমা নদী৷
তিনি বলেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মঞ্চ থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি৷ শহীদ রুমী স্কোয়াড মনে করছে এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে৷''
একই দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ মঙ্গলবারই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে৷ তারা আগামী ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে৷ তাই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে, গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে থেকেও শহীদ রুমী স্কোয়াড আলাদা কর্মসূচি কেন দিলো?
সেঁজুতি শোণিমা নদী বললেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে তা কঠোর কর্মসূচি৷ তবে শহীদ রুমী স্কোয়াডের যে সাতজন অনশন শুরু করেছেন তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ রূপ দেখানোর ভাষা হচ্ছে আমরণ অনশন এবং তাঁরা মনে করেছেন এটা তাঁদের করা উচিত৷''
তাই ‘শহীদ রুমী স্কোয়াড'-এর মুখপাত্র জানালেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত অনশন চলবে, ‘‘আমাদের দাবি হচ্ছে, যে কোনো মূল্যে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে৷ এবং সেটার একটা কার্যকরী পদক্ষেপ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে৷ এর মধ্যে যদি আমাদের কোনো সদস্য মারা যায়, যাবে৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন কোনোভাবেই ভাঙবেনা৷''
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী