বন্ধুর দিকে সন্দেহের নজর!
২ জুলাই ২০১৩জার্মানির গোয়েন্দারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না জনবল আর টাকার অভাবের কারণে৷ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ এবং ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় গণযোগাযোগের প্রধান কার্যালয় জিসি এইচকিউ-এর তুলনায় জার্মানির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি-র ক্ষমতা খুব সীমিত৷ তাই লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনডি৷ অন্তত ১০০জন নতুন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে৷ এতে সব মিলিয়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ বাড়বে৷ জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল'-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে৷
ডেয়ার স্পিগেল আরো জানায়, জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য দেশের মধ্যে যেসব বার্তা আদানপ্রদান হয় সেগুলোর শতকরা ২০ ভাগে নজরদারির আইনি অধিকার দেয়া আছে বিএনডি-কে৷ কিন্তু জনবল, অর্থ এবং অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে বিএনডি শতকরা মাত্র পাঁচ ভাগে ভালোভাবে নজরদারি করতে পারছে৷ এ কারণেই সার্ভারকে শক্তিশালী করা এবং জনবল বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে৷
অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ২০১১ সালে কমপক্ষে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টেলিযোগাযোগ বার্তা সন্দেহের আওতায় নিয়ে ভালো করে খতিয়ে দেখেছে বিএনডি৷ কিন্তু এক সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডেয়ার স্পিগেল জানিয়েছে, জার্মান কেন্ত্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কাজের পরিধি অনুযায়ী নিজেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোকে এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে৷
ইন্টারনেট নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের মতো জার্মানি এবং অন্য কিছু দেশও সক্রিয় এটা যেমন সত্য, তেমনি এসব দেশই আবার একে অন্যের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় এ বিষয়টিও এখন পরিষ্কার৷ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওয়াশিংটনে ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও রেখেছিলেন গোপন ডিভাইস৷ দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে তা বেরিয়ে আসায় এ নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টিকে খুব অস্বাভাবিক মনে করছেনা৷ গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষজ্ঞ এরিশ স্মিড্ট – ইয়েনবুম এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘ওরা ওদের কাজ করেছে৷'' এ যুগে দেশের স্বার্থে বন্ধুর দিকে বন্ধুও সন্দেহের নজর রাখে – তাই এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য করা তাঁর কাছে স্রেফ বাতুলতা৷