আরো বেশি ভিডিও নজরদারি
২৫ এপ্রিল ২০১৩তবে জার্মানিতে অনেকই বাড়তি ভিডিও নজরদারির পক্ষে নন৷ আর বিপক্ষে থাকা মানুষগুলোকে এবার এক হাত নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ সাধারণত তিনি সরাসরি কারো দিক ইঙ্গিত করে কথা বলেন না৷ কিন্তু এবার জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা বিএফভি-র এক সম্মেলনে বেশ কড়া ভাষায় ভিডিও নজরদারির বিপক্ষে থাকা একজনের সমালোচনা করেন ফ্রিডরিশ৷
ভিডিও ক্যামেরার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াদের একজন আন্দ্রেয়াস ফসকুলা৷ জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের প্রেসিডেন্ট তিনি৷ জার্মান সংবাদপত্র ‘ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বস্টনে বোমা হামলার পর জার্মানিতে বাড়াবাড়ি রকমের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেন ফক্সকুলে৷
বিএফভি-র সিম্পোজিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘যদি সাংবিধানিক বিচারকরা নীতিমালা তৈরি করতে চান, তাহলে তাদের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত৷'' ধারণা করা হচ্ছে ফসকুলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন ফ্রিডরিশ৷
প্রসঙ্গত, জার্মানিতে ভিডিও নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘ সময় ধরে৷ গত ১৪ এপ্রিল বস্টন বোমা হামলার পর বিষয়টির দিকে আবারো নজর পড়েছে সবার৷ বস্টনে হামলায় তিনি ব্যক্তি নিহত এবং শতাধিক আহত হন৷
জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি-র সংসদীয় গ্রুপের মুখপাত্র মিশায়েল হার্টমান ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি নীতিগতভাবে ভিডিও নজরদারি বাড়ানোর বিরোধী নন৷ কিন্তু এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে, ভিডিও ক্যামেরাগুলোর পেছনে যেন পর্যাপ্ত পুলিশ থাকে৷ নতুবা ক্যামেরাগুলো শুধু অপ্রয়োজনীয় ভিডিও ধারণ করে যাবে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিডরিশ মনে করেন, পুরো পশ্চিমা বিশ্বই এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷ জার্মানিও বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠীর হুমকি মোকাবিলা করছে৷ ফলে বর্তমান পরিস্থিতিকে খোটো করে দেখার কোনো কারণ নেই, জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
জার্মানিতে উগ্রপন্থী সালাফিরা সক্রিয় রয়েছে৷ পাশাপাশি নব্য নাৎসিদের সন্ত্রাসী গ্রুপ এনএসইউ সমাজে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷ এই গ্রুপ ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে গোয়েন্দা এবং পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তুর্কি বংশোদ্ভূত আট অভিবাসী, গ্রিক বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি এবং এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে বলে বিশ্বাস করা হয়৷ ২০১১ সালের নভেম্বরে একটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়৷ এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন তৃতীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৬ মে, মিউনিখে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিডরিশ তাই জার্মানির নিরাপত্তা বাড়াতে আরো ভিডিও নজরদারি চালু করতে চান৷ তিনি তাঁর পরিকল্পনা আগামী মাসে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে উপস্থাপন করবেন৷