1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহত দুই জন

২০ নভেম্বর ২০১১

মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের শাসনামলের অবসান হলেও তাহরির চত্বর এখনও অশান্ত৷ ১৮ দিনের ঐতিহাসিক বিক্ষোভে পতন হয়েছিল মুবারকের৷ তবে এখনও নতুন সামরিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য বিক্ষোভ চলছে৷

https://p.dw.com/p/13Dvl
epa03008843 Egyptians clash with security forces in Cairo, Egypt, 19 November 2011. According to media report, Egyptian police on 19 November 2011 removed dozens of activists from Tahrir Square in central Cairo after a brief sit-in. The activists began their action late 18 November an open-ended strike in protest against what they said was a murky plan from the country's military rulers to hand over power to a civilian administration. EPA/AHMED KHALED +++(c) dpa - Bildfunk+++
কায়রোয় সহিংসতার খণ্ডচিত্রছবি: picture-alliance/dpa

সর্বশেষ পরিস্থিতি

শনিবার রাতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ আর এসব বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনাস্থল সেই তাহরির চত্বর৷ মুবারক বিরোধী আন্দোলনেরই যেন নতুন রূপ৷ রবিবারও সেখানে সমবেত হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী৷ পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে৷ ছোঁড়ে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেটও৷ পুলিশের ছোঁড়া বুলেটে আহত হয়েছেন স্বয়ং বার্তা সংস্থা এএফপি'র এক সাংবাদিক এবং পশ্চিমা অপর গণমাধ্যমের একজন ফটোগ্রাফার৷

এ পর্যন্ত সংঘর্ষে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ রাজধানী কায়রোতে নিহত হয়েছেন ২৩ বছর বয়সি আহমেদ মাহমুদ৷ এছাড়া আলেক্সান্দ্রিয়া শহরে বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২৫ বছর বয়সি বাহাএদ্দিন মোহামেদ হুসেন৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত সাড়ে সাতশ' জন৷ আহতদের মধ্যে ৪০ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছে৷ এছাড়া তাহরির চত্বর থেকে ধীরে ধীরে আলেক্সান্দ্রিয়া, আসওয়ান এবং সুয়েজ শহরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷

বিক্ষোভের কারণ

মূলত হোসনি মুবারকের পতনের পর সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পরিষদ - এসসিএএফ মিশরের ক্ষমতা গ্রহণ করে৷ এই পরিষদের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ফিল্ড মার্শাল হুসেন তানতাভি৷ অথচ এই তানতাভি দীর্ঘদিন হোসনি মুবারকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ফলে এখন মূলত তানতাভির বিরুদ্ধেই মিশরের মানুষের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে৷ এছাড়া সামরিক পরিষদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ তারা৷ ফলে বিক্ষোভকারীদের এই সামরিক পরিষদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেই শোনা গেছে৷ এছাড়া ‘তানতাভি নিপাত যাক' বলেও স্লোগান দিচ্ছিল অনেকে৷

প্রশাসন এবং বহির্বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

দেশের এমন সংকট জনক পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী এসাম শারাফ৷ তবে দেশের এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো৷ অবশ্য ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অটল রয়েছে মিশরের সামরিক পরিষদ৷ এই পরিষদের সদস্য মোহসেন আল ফাঙ্গারি রবিবার আল হায়াত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে৷

এদিকে, মিশরের সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি৷ রবিবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, ‘‘কায়রো এবং আলেক্সান্দ্রিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে৷ আমি সকল পক্ষকে সহিসংতা বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি৷'' এছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য