মিশর ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনল
২০ আগস্ট ২০১১এর পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এহুদ বারাক৷
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের আইলাত শহরের কাছে আটজন ইসরায়েলি প্রাণ হারায়৷ ইসরায়েল সেই আক্রমণের জন্য একটি জঙ্গি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে দায়ী করে এবং বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজা স্ট্রিপে একাধিক বিমান হানা চালায়৷ এই পাল্টা আক্রমণে ১৪ জন মানুষ নিহত হয়৷ তার মধ্যে ঐ ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারাও ছিল৷ দৃশ্যত এই গোষ্ঠীর হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই৷
শুক্রবারের আরেকটি গুরুতর ঘটনা: ইসরায়েলি সৈন্যরা সীমান্ত পেরিয়ে আসা আক্রমণকারিদের পিছনে ধাওয়া করার সময়ে সৈন্যদের গুলিতে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচজন সদস্য নিহত হয়৷ সেদিন সন্ধ্যা থেকেই কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ চলেছে৷ অপরদিকে গাজা স্ট্রিপ থেকে ইসরায়েলের ওপর রকেট ছোঁড়াও থেমে নেই৷ তা'তে দক্ষিণ ইসরায়েলে তিনজন মানুষ আহত হয়েছে৷
মিশরীয় মন্ত্রিসভার ক্ষোভের আরেকটি কারণ: ইসরায়েলি বিবৃতি অনুযায়ী আততায়ীরা গাজা থেকে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ হয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে৷ পরোক্ষভাবে: মিশর সিনাই উপদ্বীপের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে, যে অভিযোগ কায়রো মন্ত্রীসভার পক্ষে বরদাস্ত করা সম্ভব নয়৷ তাই ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করা হয়েছে৷
সিনাই মরুভূমি মিশর এবং ইসরায়েলের মধ্যে বাফার বিশেষ৷ ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল এই সীমান্তে সীমিত সংখ্যক সৈন্য নিয়োগ করতে পারে৷ হোসনি মুবারকের পতনের পরও ঐ শান্তি চুক্তি ‘‘ইসরায়েলের অস্তিত্বের একটি বুনিয়াদী উপাদান'', বলেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমোস গিলাদ৷ গিলাদ আরো জানান যে, কার গুলিতে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়েছে, তদন্তে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি৷
মিশর এর আগেও তেল আভিভ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে, যেমন ১৯৯২ সালে ইসরায়েল যখন লেবাননে অনুপ্রবেশ করে এবং ২০০০ সালে, যখন ইসরায়েল গাজার উপর ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে৷ বিশ্লেষকদের মতে, এবারেও মিশর কিংবা ইসরায়েলের বিরোধটাকে আর বাড়তে দেবার অভিপ্রায় নেই৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক