1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহামারিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ‘ধ্বংস' হয়ে গেছে: পেন

২৪ জুলাই ২০২২

করোনাকালে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী লেখকরা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন জার্মানি৷ স্বৈরশাসকেরা মহামারির বিধিনিষেধকে লেখকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/4EZ3x
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দুতের্তের নানা সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনাকারী .ব্যাপলারের প্রধান মারিয়া রেসা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কিন্তু শাসকের চোখরাঙানির হাত থেকে রেহাই পাননি৷
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দুতের্তের নানা সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনাকারী .ব্যাপলারের প্রধান মারিয়া রেসা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কিন্তু শাসকের চোখরাঙানির হাত থেকে রেহাই পাননি৷ছবি: Sikarin Thanachairy

আন্তর্জাতিক লেখক সংস্থা পেনের মতে, করোনা মহামারি অনেক দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়  ‘ভয়াবহ' প্রভাব ফেলেছে৷

পেন বলছে, লেখক, সাংবাদিক এবং সমালোচকরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী করোনা মহামারিকালে৷ জার্মান পেন সেন্টারের নব-নির্বাচিত ডেপুটি প্রেসিডেন্ট কর্নেলিয়া সেটৎশে বলেন, ‘‘স্বাধীন শব্দটা এর আগে এতটা পরাধীন ছিল না৷ পৃথিবীটা হয়তো আর ভালো হবে না৷''

পেন জানাচ্ছে করোনা মহামারির সময় বিশ্বের অনেক দেশে লেখকদের  অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করা হয়েছে৷ বাংলাদেশ এবং ভেনেজুয়েলাতে ‘ভুয়া সংবাদ' ছড়ানোর অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাংবাদিকদের৷ কাজাখস্তানে কবি আরন আতাবেক করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে মারা গিযেছেন৷

উগান্ডায় লেখক কাকওয়েনজা রুকিরাবাশাইজাকে কারাগারে নিযার্তনের পর  জানুয়ারি মাসে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়৷

বিশ্বব্যাপী লেখকদের নিপীড়ন

পেন জানাচ্ছে, অনেক দেশে স্বৈরশাসকরা নির্মমভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছে৷ মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেয়া কবি মিন্ত মিন্ত জিন এবং কে জা উইনসহ অন্তত পাঁচজন লেখক সামরিক জান্তা সরকারের হাতে নিহত হয়েছেন৷

পেনের নতুন এই রিপোর্টে তুরস্কের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে
পেনের নতুন এই রিপোর্টে তুরস্কের কথাও উল্লেখ করা হয়েছেছবি: Pixelhelper.org/Dirk-Martin Heinzelmann

২০২১ এর আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার পেন সদস্য আবদুল্লাহ আতেফি এবং দাওয়া খান মেনাপালকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ 

দমন এবং বল প্রয়োগের নীতি দেখা গেছে বাংলাদেশ, মেক্সিকো এবং লেবাননে৷ টিগ্রেতে সেখানকার দ্বন্দ্ব নিয়ে যেসব সাংবাদিক রিপোর্ট প্রকাশ করছিলেন, তাদের হয়রানি এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ 

ইউরোপেও ঘটেছে এমন ঘটনা৷ গত বছরের জুলাইতে আমস্টারডামে ডাচ ক্রাইম রিপোর্টার পিটার আর ডি ফ্রাইসকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ পরে পুলিশ জানায়, একটি অপরাধী চক্রের দলনেতার বিরুদ্ধে এক মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল ফ্রাইসের৷

লেখকদের বিরুদ্ধে একইধরনের অভিযোগ

পেনের নতুন এই রিপোর্টে চীন, তুরস্ক, মিশর এবং ইরানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ এসবদেশে বহুদিন ধরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন৷

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লেখকদের দমন-নিপীড়নের পিছনে একইধরনের যৌক্তিকতা কাজ করে বলে পেনের ‘রাইটার্স ইন প্রিজন কমিটি'কে জানিয়েছেন সেটৎশে৷ কখনো কখনো লেখকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তারা দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ আবার কখনো তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগ আনা হয়৷ সেটৎশে বলেন, ‘‘লেখকদের বিরুদ্ধে সব জায়গায় একইধরনের অভিযোগ আনা হয়৷ দমনের অস্ত্র সবসময় এক৷''

স্টেফান ডেগে/এপিবি