1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মায়াবতীর ইস্তফা

৭ মার্চ ২০১২

ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পর দলগত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসেছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ উত্তরপ্রদেশে পালাবদল৷ মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ইস্তফা দিয়েছেন৷ আর সমাজবাদী পার্টি সরকার গড়তে চলেছে রাজ্যে৷

https://p.dw.com/p/14GRO
ছবি: AP

ভোটের ফলাফলের পর দলগত আত্মসমীক্ষা৷ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের পরাজয় স্বীকার করে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রার্থী নির্বাচনে ভুল, অনেক বেশি নেতা থাকা ইত্যাদিই এ পরাজয়ের অন্যতম কারণ৷ তবে দলের এই বিপর্যয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংকে সরানোর প্রশ্ন নেই৷ তাই ফলাফলে কেন্দ্রের সরকারের কোনো বিপদ হবেনা৷ প্রতিটি নির্বাচনই দলের কাছে এক শিক্ষা, তা সে জয় হোক বা পরাজয়৷ আগামী নির্বাচনে সেই ভুল শুধরে নেব, জানান সোনিয়া৷

এদিকে, ভোটে হেরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মায়াবতী৷ তাঁর দল বিএসপি'র পরাজয়ের জন্য তিনি দায়ী করেন কংগ্রেস ও বিজেপি'র সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে৷ বলেন এজন্য ৭০% ভোট যায় সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে৷ উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট ভাগ হওয়াতেও লাভ হয় সমাজবাদী পার্টির৷ তবে দলিত ভোটের জোরেই তারা পায় ৮০টি আসন, এমনটাই বললেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী৷

ওদিকে, বিপুল ভোটে জয়ী সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক দলের বৈঠক বসে আজ৷ কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে শুক্রবার৷ প্রার্থী দুজন৷ বাবা মুলায়েম সিং এবং ছেলে অখিলেশ সিং যাদব৷ পাল্লা কিছুটা ভারি অখিলেশের দিকে৷ কারণ দলের অনেকের মতে, তাঁরই নিরলস পরিশ্রম ও সাংগঠনিক ক্ষমতার ফলে দলের এই বিপুল জয় সম্ভব হয়েছে৷ তিনি ১০ হাজার কিলোমিটার সফর করেন দলীয় প্রতীক সাইকেলে৷ সভা করেন ৮০০টি৷

নির্বাচনী ফলাফলে কেন্দ্রের মনমোহন সিং সরকারের ভবিষ্যত এবং জাতীয় রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি সে প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বললেন, সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দল বিজেপি ছাড়াও আঞ্চলিক দলগুলি বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি, দুর্নীতি নিয়ে চাপ বাড়াবে৷ অন্যদিকে, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেস তার প্রার্থীকে জেতাতে পারবে কিনা সেটাও দেখার৷ মোটকথা জাতীয় রাজনীতির চেহারাটা খানিকটা গোলমেলে হবে৷

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস বুঝতে পারেনি, দলের একলা চলো নীতি, কোনো আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় না এসে রাজনীতিতে জায়গা পাওয়া কঠিন৷ দ্বিতীয়ত, রাহুল গান্ধীর ম্যাজিক কাজ করেনি৷ কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিতটা ছিল দুর্বল৷ রাহুলের আর্থ-সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড তাঁকে ভূমিপুত্রের মর্যাদা দেয়নি৷ যেটা পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য