1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নগ্ন করে নির্যাতন করা হয় শরণার্থীদের’

১৫ নভেম্বর ২০১৬

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে প্রবেশে আগ্রহী বাংলাদেশি শরণার্থীদের লিবিয়া ও তুরস্কের মতো দেশে জিম্মি করে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে৷ এরকম পরিস্থিতির শিকার এক ব্যক্তি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতা৷

https://p.dw.com/p/2SjkK
Deutschland Aktivist Basir in Bonn (DW/A.  Islam)
ছবি: DW/A. Islam

‘নগ্ন করে নির্যাতন করা হয় শরণার্থীদের’

বাংলাদেশে মোবাইলে অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় ব্যবস্থা ‘বিকাশ' ব্যবহার করে মানব পাচারকারীদের মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে৷ ইউরোপে প্রবেশের সময় পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার একাধিক বাংলাদেশি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তাঁরা দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিদের সস্তায় ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখায় মানবপাচারকারীদের একটি চক্র৷ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে লিবিয়া, ইরান বা তুরস্কে পৌঁছানোর পর শরণার্থীদের জিম্মি করা হয় বাড়তি অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে৷

দুবাই থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জার্মানিতে পৌঁছানো এক বাংলাদেশি শরণার্থী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শরণার্থীদের জিম্মি করার পর বাংলাদেশে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়৷ প্রত্যাশামতো টাকা শরণার্থীর পরিবার ‘বিকাশের' মাধ্যমে পাঠানোর পর মুক্তি পান তিনি৷ কিন্তু পরিবার টাকা দিতে গড়িমসি করলে অকথ্য গালাগালি এবং নগ্ন করে গায়ে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে নির্যাতন করা হয় শরণার্থীকে৷ এতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শরণার্থী বর্তমানে জার্মানির বন শহরে অবস্থান করছেন৷ তুরস্কে মানবপাচারকারীদের হাতে সাত মাস জিম্মি ছিলেন তিনি৷ বাংলাদেশের নোয়াখালীর এই বাসিন্দা জানান, বাংলাদেশি মানবপাচারকারীরা তুরস্ক এবং লিবিয়ার স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে শরণার্থীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করছে৷ ‘বিকাশের' মাধ্যমে ক্যাশ টাকা লেনদেন সহজ এবং ক্যাশ টাকা তুলে নেয়ার সুযোগ থাকায় জিম্মিকারীরা সেটি ব্যবহার করে বলে দাবি করেন তিনি৷

তাঁর পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য