বালুর তৈরির শিল্পকর্মে মুগ্ধ সবাই
২০ জানুয়ারি ২০২০বড়দিনের গল্পের এক ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা: গ্রান ক্যানারিয়ায় জড়ো হওয়া শিল্পীরা বড়দিনের নানা ঘটনা ফুটিয়ে তুলেছেন বালু দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যের মাধ্যমে৷ বালুশিল্পী সানিটা রাভিনার ভাষায়, ‘‘এটা হচ্ছে যিশুর জন্মের সময়কার কাহিনীর ভিত্তিতে তৈরি আমার শিল্পকর্ম যেখানে দেখা যাচ্ছে শিশু যিশু মারিয়ার কোলে রয়েছেন এবং যোশেফ পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ তাদেরকে শান্তিপূর্ণ, সুখি হিসেবে উপস্থাপন আমার কাছে জরুরী ছিল৷ অন্যথায় ছবিটা সঠিক হতো না বলে আমার মনে হয়েছে৷''
সানিটা রাভিনা লাটভিয়া থেকে এসেছেন৷ বালু দিয়ে তাঁর বড়দিনের এই চিত্রকর্ম তৈরিতে আটদিন সময় লেগেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্ভবত বারো বা তের বছর বয়সে বালু দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি শুরু করি আমি৷ সেটা ছিল লাটভিয়াতে৷ শিশুদের এক প্রতিযোগিতায় সেটা করেছিলাম যা বছরে একবার হয়৷ জুলাই মাসের ঘটনা ছিল সেটা৷ আমি সেখানে যাওয়া শুরু করি৷ প্রথমদিকে অবশ্য আমি কিছুই জিততে পারিনি৷ তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এই কাজে পারদর্শী হয়ে উঠি এবং প্রথম পুরস্কার পেতে শুরু করি৷''
ক্যানেরি দ্বীপের তাপমাত্রা এমন যে শীতের মাঝামাঝি সময়েও সেখানে সাঁতার কাটা যায়৷ অনেকটা গ্রীষ্মে বড়দিনের মৌসুমের মতো৷
লাস পামাসের জনপ্রিয় দ্বীপে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে গেলে দর্শনার্থীদের মধ্যে বড়দিনের মৌসুমের অনুভূতি সৃষ্টি হয়৷ যিশুর জন্মের কাহিনীর ভিত্তিতে তৈরি নানা ভাস্কর্য তৈরির এই উৎসব ১৪ বছর ধরে চলছে৷ চলতি বছর এখানে আটটি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে, যেগুলো তৈরিতে দু'হাজার টন বালু ব্যবহার করা হয়েছে৷
লাস পামাসের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ কলম্বাস হাউস৷ এটারও বালুর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে যেটা দেখতে অনেকটা বাথলহামের মতো৷ কিছু শিল্পী তাদের কাজের মাধ্যমে কিছু গোপন বার্তাও দিচ্ছেন৷ সানিটা বলেন, ‘‘আমি এখানে ইংরেজি এম অক্ষরটি লিখেছি৷ এর অর্থ মারিয়া এবং মা৷ এটা আমার ক্ষুদ্রবার্তা৷ এবং আমি মাঝেমাঝে এরকম করি৷ কখনো কখনো ছোট প্রাণী লুকিয়ে রাখি৷ এবার আমি চিন্তা করেছি যে আমি এম লিখবো৷ যারা এটা দেখবে, বুঝবে৷ যারা দেখবেনা, বুঝবেনা৷ এটা মজা৷''
গ্রান ক্যানারিয়ায় বড়দিন উপলক্ষ্যে বালুর এসব শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় যা জানুয়ারির সাত তারিখ অবধি উপভোগ করা যাবে৷
বেনজামিন আলভারেজ গ্রুবার/এআই