পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, রায় সুপ্রিম কোর্টের
২০ জুন ২০২৩কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হবে। হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগরত্ন ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেছেন, ''সহিংসতারপরিবেশে ভোট হতে পারে না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হবে।''
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকা তাদের কাজ নয়। তারা রাজ্যে যখন স্পর্শকাতর কেন্দ্র ও জেলা চিহ্নিত করছিলেন, তখনই হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
আর রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, তারা পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের পাশাপাশি অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ এনে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। তাদের পরিকল্পনা তৈরি। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পুরোটা আবার নতুন করে করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ''অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ যদি আনা যায়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষেত্রে কেন আপত্তি জানানো হচ্ছে? বাহিনীর খরচও কেন্দ্রীয় সরকার দেবে, তাহলে আপত্তিটা কীসের ?''
বিচারপতিরা বলেছেন, ''২০১৩ ও ২০১৮ সালের ভোটে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে।''
বিচারপতিরা বলেছেন, ''নির্বাচন পরিচালনা মানে কাউকে সহিংসতা করার অনুমতি দেয়া নয়। সহিংসতার পরিবেশে নির্বাচন হয় না। ''
বিচারপতি নাগরত্ন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলেন, ''নিরাপত্তা দেয়ার কাজ যখন আপনাদের নয়, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপনারা চিন্তিত কেন? আপনারা নিজেদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, তা আপনাদের অসুবিধার কারণ হতে পারে না।''
বিচারপতি বলেছেন, ‘'ভোটে অশান্তি হবে তা আশা করা যায় না। অতীতে রাজ্যে সহিংসতার প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সেখানে অসুবিধার কিছু দেখছি না।''
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, পুরো রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। বিচারপতি নাগরত্নে বলেন, ''এটা তো নির্বাচনের সময় হবে। এটাকে অন্যভাবে দেখার দরকার নেই।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার, টিভি৯)