নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা
৮ জানুয়ারি ২০২৩স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার কর্মকর্তা জানান, গত বছরের শেষের দিকেও বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে শত শত রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় পালিয়ে এসেছিলেন৷
রোববার স্থানীয় সময়, দুপুর আড়াইটার দিকে আচেহতে এসে পৌঁছায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি৷ তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন নারী ও শিশু৷ ঐ অঞ্চলের দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রিদওয়ান জামিল রয়টার্সকে এ তথ্য জানান৷
রিদওয়ানের শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা গেছে শরণার্থীরা দল বেঁধে বসে আছেন৷ কেউ কেউ বালির উপর শুয়ে আছেন৷
গত কয়েক মাসে শত শত রোহিঙ্গা আচেহ পৌঁছেছেন, যার মধ্যে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ১৭৪ জনকে নিয়ে উপকূলে ভেসে যাওয়া একটি নৌকাও রয়েছে৷
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, রোহিঙ্গাদের জন্য এক দশকের মধ্যে ২০২২ সালটি সমুদ্রে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক বছর বলে মনে করা হচ্ছে৷
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা৷ বছরের পর বছর ধরে অনেক রোহিঙ্গা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে পালিয়ে আসেন৷ এরমধ্যে বড় সংখ্যক আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে৷ অনেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পালিয়ে আসেন৷
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আন্তারা শনিবার জানিয়েছে, আচেহের জেলেরা রোন্ডো দ্বীপের কাছে তিনটি নৌকা দেখতে পেয়েছেন যেগুলোরোহিঙ্গাদের বহন করছিল বলে তাদের সন্দেহ৷ রোববার যে নৌকাটি উপকূলে পৌঁছেছে সেটি তাদের মধ্যে একটি কিনা তা স্পষ্ট নয়৷
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে জনাকীর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন, যার বেশিরভাগ ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মারাত্মক দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসেন৷
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, শিবির ছেড়ে রোহিঙ্গাদের চলে যাওয়ার সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে৷ তাদের বৃহত্তর অংশের দেশত্যাগের কারণ কী তা স্পষ্ট নয়৷ তবে কিছু অধিকারকর্মী বিশ্বাস করেন যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আশেপাশে কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া এর একটি কারণ হতে পারে।
আরকেসি/এফএস (রয়টার্স)