তুরস্ক-অ্যামেরিকা চূড়ান্ত সংঘাত
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্রাম্প সরকার৷ জবাবে এর্দোয়ান সরকারের মন্তব্য, অ্যামেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তারাও দেশের দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেবে৷
অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি তোপ দাগলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান৷ জানিয়ে দিলেন, অ্যামেরিকা যদি রাশিয়ার কাছ থেকে মিসাইল কেনার ক্ষেত্রে তুরস্কের বিরোধিতা করে, তাহলে সে দেশে মার্কিন সেনার দুটি ঘাঁটি তাঁরা বন্ধ করে দেবেন৷
সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে মিসাইল সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করেছিল তুরস্ক৷ রাশিয়া তা বিক্রি করতে রাজিও হয়েছিল৷ কিন্তু বাদ সাধে অ্যামেরিকা৷ মার্কিন সরকার তুরস্ককে জানিয়ে দেয়, যে মিসাইল সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছেন এর্দোয়ান, তা ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী বৈধ সামরিক অস্ত্র নয়৷ ফলে তুরস্ক যদি ওই অস্ত্র কেনে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে অ্যামেরিকা৷
এতেই ক্ষুব্ধ হন এর্দোয়ান৷ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাশিয়ার সঙ্গে মিসাইলের যে চুক্তি তাঁর হয়েছে, তা থেকে তিনি পিছু হটবেন না৷ তাতে অ্যামেরিকা যদিনিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে তিনিও তুরস্কে অবস্থিত অ্যামেরিকার দুটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেবেন৷ মার্কিন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই দুটি সামরিক ঘাঁটি মার্কিন সেনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, ওই দুটি ঘাঁটি থেকেই ইসলামিক স্টেট, ইরান এবং সিরিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় লড়াই চালায় অ্যামেরিকা৷ শুধু তাই নয়, ওই দুটি ঘাঁটির একটিতে অ্যামেরিকা ৫০টি গ্র্যাভিটি পরমাণু অস্ত্রও রেখেছে৷ ফলে এই দুটি ঘাঁটি এর্দোয়ান বন্ধ করে দিলে ব্যাপক সমস্যায় পড়বে ট্রাম্প প্রশাসন৷ বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সংসদেও আলোচনা হয়েছে৷
সিরিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াকে মদত দিচ্ছে তুরস্ক, এ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে৷ বিষয়টি নিয়ে এর্দোয়ানকে একাধিকবার চাপ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকা৷ ফলে বেশ কিছু দিন ধরেই অ্যামেরিকার সঙ্গে চাপা বিরোধ চলছিল তুরস্কের৷ এ বার তা প্রকাশ্যে চলে এল৷
চেস উইন্টার/এসজি/জিএইচ