1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘরে গদি টলমল, ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প

৩ ডিসেম্বর ২০১৯

সামরিক কোট ন্যাটোর ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শীর্ষ নেতারা লন্ডনে মিলিত হচ্ছেন৷ ট্রাম্প ও এর্দোয়ানের মতো বিতর্কিত নেতাদের উপস্থিতি সম্মেলনের উপর কালো ছায়া ফেলতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3U7mj
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski

সামরিক জোট ন্যাটোর ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ২৮টি দেশের শীর্ষ নেতারা মঙ্গলবার লন্ডনে মিলিত হচ্ছেন৷ তবে দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে ঐক্য ও সংহতির তুলনায় বেশ কিছু চলমান বিতর্ক প্রাধান্য পাচ্ছে৷ জোটের প্রয়োজনীয়তা ও কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে মতপার্থক্য দানা বাঁধছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ন্যাটোকে ‘ব্রেন ডেড' হিসেবে বর্ণনা করে সেই সংকটের বর্ণনা দেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জোটের মধ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ বিশেষ করে সম্প্রতি সিরিয়ার উত্তরে সামরিক অভিযানকে ঘিরে জোটের মধ্যে চরম মতপার্থক্য দেখা গেছে৷ অক্টোবর মাসে অ্যামেরিকা আচমকা সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পর ন্যাটোর আর এক সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনীর উপর হামলা শুরু করে৷ ন্যাটোর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কোনো সমন্বয় বা ঐকমত্যের প্রচেষ্টা দেখা যায়নি৷

ক্ষমতায় আসার পর থেকে ন্যাটোকে আক্রমণ করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি বিশেষ করে জার্মানিসহ অন্যান্য সদস্য দেশের উপর মাসুল বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়ে চলেছেন৷ অন্যদিকে অ্যামেরিকার আর্থিক অবদান কমাতে চান তিনি৷ সেই চাপের ফলে কিছুটা কাজ হয়েছে৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, যে ৯টি সদস্য দেশ ন্যাটোর নীতি অনুযায়ী প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করছে৷ অন্য কিছু দেশও সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে৷

তুরস্কের বর্তমান ভূমিকার কারণে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট দেখা যাচ্ছে৷ ন্যাটোর সদস্য দেশ হওয়া সত্ত্বেও যাবতীয় আপত্তি উপেক্ষা করে সে দেশ রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ প্রযুক্তি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উল্লেখ্য, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি সাধারণত এমন সামরিক সরঞ্জাম কেনে, যা ন্যাটোর কাঠামোয় খাপ খায়৷ সিরিয়ায় একতরফাভাবে সামরিক অভিযান চালিয়েও তুরস্ক চরম বিরক্তি সৃষ্টি করেছে৷

লন্ডন সম্মেলনে ট্রাম্প কী বলবেন বা করে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ মহাসচিব স্টলটেনবার্গের সঙ্গে প্রাতরাশ করার পর তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷ ট্রাম্প, মাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ তবে বুধবারই শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রায় ৫০টি সিদ্ধান্তে অনুমোদন জানাবেন তাঁরা৷

ট্রাম্প যখন লন্ডন সফর করছেন, ঠিক তখনই অ্যামেরিকায় তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিদেশ সফরের সময় এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)