জ্বালানি ছাড়াই আকাশে ঘোরাঘুরি
৯ এপ্রিল ২০১৩সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ব্যার্ট্রান্ড পিকার৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অন্দ্রেঁ বোরশবার্গ৷ এই বোরশবার্গই চালাবেন বিমানটি৷
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মাসের প্রথম দিকে সান ফ্রান্সিসকো থেকে যাত্রা শুরু করবে এই সৌরচালিত বিমান৷ প্রায় দুই মাস পর সেটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে নামবে৷ এর মধ্যে ফিনিক্স, ডালাস, ওয়াশিংটন সহ আরও একটি শহরে যাত্রাবিরতি করবে বিমানটি৷
এর আগে গত বছরের জুন মাসে সৌরচালিত এই বিমানটি স্পেন থেকে মরক্কো যায়৷ সেটাই ছিল প্রথম আন্তঃ মহাদেশীয় যাত্রা৷
সোলার ইমপালস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বিশ্বভ্রমণ৷ ২০১৫ সালে সেটা পূরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ এই লক্ষ্যে ২০০৩ সালে দশ বছরের জন্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট নিয়ে কাজ শুরু হয়৷ ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সৌরচালিত একটি পরীক্ষামূলক বিমান উড়তে সক্ষম হয়৷ তখন ভূমি থেকে এক মিটার উঁচু দিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার এলাকা পাড়ি দেয় বিমানটি৷
জাম্বো জেটের মতো দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট এই বিমানে প্রায় ১২ হাজার সৌরকোষ লাগানো রয়েছে৷ দিনের বেলায় এগুলো আলো সঞ্চয় করে রাখে, যেন রাতের বেলায় তা দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করা যায়৷
সৌরচালিত এই বিমানে দীর্ঘ পাখা থাকলেও ওজনে সেটা একটি ছোট গাড়ির সমান মাত্র৷
আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন সোলার ইমপালস প্রকল্পের প্রধান পিকার৷
তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে৷
জেডএইচ / এসবি (রয়টার্স)