1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার পরিবেশ নীতি

আশীষ চক্রবর্ত্তী১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেই নতুন এক যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বারাক ওবামা৷ এবারের যুদ্ধ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/17ffL
ছবি: AFP/Getty Images

নির্বাচনের আগে দুর্বল এবং আগের তুলনায় বেশ নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনা সইতে হয়েছে ওবামাকে৷ তার উত্তর কী হবে এখনই বলা মুশকিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় পরিবর্তনই তো রাতারাতি হয়না, তা আশা করাও অনেক ক্ষেত্রে বোকামি৷ তবে এবার যে জায়গায় ওবামা হাত দিচ্ছেন সেখানে সফল হওয়া বোধহয় তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন৷ যুদ্ধক্ষেত্রের নাম ‘জলবায়ু পরিবর্তন'৷ সেখানে তো অনেক প্রতিপক্ষ৷

অসচেতন মানুষ, ভোগবিলাসে অতিরিক্ত লোভ থেকে জন্ম নেয়া এক ধরনের স্বার্থপরতা, আরো রয়েছে ঘরে-বাইরের শত্রু – কাকে ছেড়ে কার কথা বলবেন? ওবামা প্রথম চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে৷ তাঁর সোজা কথা, উষ্ণায়নের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় কংগ্রেস একটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করবে, নয়তো কারো অপেক্ষায় না থেকে সেই কাজে নেমে পড়বেন তিনি নিজে৷ মঙ্গলবার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ওবামা বলেছেন, ‘‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে কংগ্রেস যদি শিগগিরই কিছু করে না দেখায়, তাহলে আমি করে দেখাবো৷''

এমন চ্যালেঞ্জ অবশ্য এমনি এমনি ছুঁড়ে দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ নির্বাচনের সময় প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান শিবির থেকে যেসব তোপ দাগানো হয়েছে সেগুলোর ক্ষত এখনো টাটকা৷ পাশাপাশি আছে ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির ধ্বংসযজ্ঞের দুঃস্মৃতি৷ রিপাবলিকানদের নিয়ে ভাবনা না হয় আপাতত তুলে রাখা গেল৷ বর্তমান মেয়াদ শেষে ওবামা তো আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না, চার বছর পর আবার নির্বাচন হবে, তখন আবার রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গে তাঁর দল ডেমোক্র্যাটদের ভোটযুদ্ধ৷

কিন্তু স্যান্ডির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো যখন-তখন ফিরে আসতে পারে, জাতীয় জীবনে আবার নেমে আসতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়৷ সেই আশঙ্কা দূরে রাখতেই ওবামা ঠিক করে ফেলেছেন কংগ্রেস তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে কী করণীয়, বলেছেন, ‘‘পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি এড়ানোর জন্য সবাইকে তৈরি করতে এখন এবং ভবিষ্যতে যা কিছু করণীয়, ক্যাবিনেটকে বলবো সেগুলো ঠিক করে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে৷''

Folgen des Huricane Sandy auf dem Barrier Island vor New Jersey
নিউ জার্সি’তে স্যান্ডির তাণ্ডবছবি: DW/M.Soric

ওবামা চান সবাইকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুব কম খরচে সৌর এবং বায়ু শক্তির ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়ে কার্বন নিঃসরণ এবং সেই সুবাদে উষ্ণায়নের মাত্রা যতটা সম্ভব কমাতে৷ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে উৎসাহিত করাও তাঁর লক্ষ্য৷ এসব যে একেবারে নতুন ভাবনা তা কিন্তু নয়৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রে বায়ু এবং সৌরশক্তির ব্যবহার দ্বিগুণ করেছিলেন৷ তারপরও নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আক্রমণ সামলাতে হয়েছে৷ স্যান্ডির আঘাতটাও এসেছিল নির্বাচনের ঠিক আগে৷

এবার অবশ্য গত নির্বাচন বা অতীতের স্যান্ডি বিপর্যয় নিয়ে ভাবছেননা৷ ওবামার চোখ এখন অন্তত ২০ বছর পরের ভবিষ্যতের দিকে৷ তখন যাতে মানুষ অনেক নিশ্চিন্তে, বেশ নির্ভাবনায় থাকতে পারে সেরকম অবস্থা তৈরি করতে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সবাইকে সৌরশক্তিতে চলে এমন পণ্য ব্যবহার করার অনুরোধও জানিয়েছেন৷ কিন্তু কথা হলো, তাঁর এ আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কি খুব সাড়া দেবে?

বারাক ওবামা বলেছেন, স্যান্ডি বা ভয়ঙ্কর খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে চাইলে সবাই কাকতালীয় মনে করে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আবার তার বিপদটা বুঝলে বিজ্ঞানের নির্দেশিত পথেও চলতে পারেন৷ বিজ্ঞান যে নিরাপদ জীবন যাপনের পথ দেখায় সে বিষয়টি বোঝার দায়িত্ব জনগণের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন বারাক ওবামা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য