1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জ্ঞানবাপী মসজিদের দখল ছাড়া হবে না: ওয়েসি

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জ্ঞানবাপী-বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্কে বোমা ফাটালেন এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তার বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে একাধিক মুসলিম সংগঠনের বক্তব্য।

https://p.dw.com/p/4c5d7
ভারতের নতুন দিল্লিতে সংসদ ভবনে এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি
ভারতের এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি মনে করেন, অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার মতোই জ্ঞানবাপী মামলা এগোচ্ছেছবি: Imago/Hindustan Times/S. Mehta

সম্প্রতি বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি দিয়েছে। এনিয়ে দেড় বছর ধরে শুনানি হয়েছে আদালতে। মুসলিম-পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বোমা ফাটিয়েছেন।

তার বক্তব্য, ‘‘আর কোনো মসজিদের দখল আমরা ছাড়ব না। অনেক হয়েছে।’’ ওয়েইসির বক্তব্য, অযোধ্যার রাম মন্দির মামলার মতোই জ্ঞানবাপী মামলা এগোচ্ছে। আদালত যে রায়ই দিক, বাবরি মসজিদের মতো জ্ঞানবাপী মসজিদের দখল ছাড়া হবে না।

রাজনীতির রামমন্দির

বস্তুত, দেড় বছর আগে বারাণসী জেলা আদালত অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। হিন্দুপক্ষ জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করার যে আবেদন করেছিল, অঞ্জুমান সেই আবেদন খারিজ করে দেয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু আদালত মামলা শোনার কথা জানায়। বস্তুত, সেই সময়েই ওয়েইসি এবিষয়ে তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, অযোধ্যা মামলার মতোই এই মামলাটি এগোচ্ছে।

গত জানুয়ারি মাসে আদালত ওই মসজিদ চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। মুসলিম পক্ষ উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরমধ্যেই ওয়েইসি তার বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, এই রায়ের ফলে দেশে ফের অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের স্মৃতিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

ভারতের জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কে সবপক্ষের বক্তব্য

কেবল ওয়েইসি নন, প্রায় একই সুরে কথা বলছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। সর্বভারতী মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মুখপাত্র কাসিম রসুল ইলিয়াস ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘বাবরি মসজিদ-রামমন্দির মামলায় আমাদের সঙ্গে সঠিক বিচার হয়নি। তবু আমরা ওই রায় মেনে নিয়েছি। কিন্তু আগামীতে আমরা সঠিক বিচার না পেলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরব না।’’ উল্লেখ না করে ইলিয়াস জ্ঞানবাপী এবং মথুরা মসজিদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

জামাত-এ-ইসলামিও সাংবাদিক সম্মেলন করে এই একই কথা বলেছে। বস্তুত, দিল্লির মেহরৌলি অঞ্চলে একটি মসজিদ সম্প্রতি ভাঙা হয়েছে। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো ওই মসজিদটি রাস্তা তৈরির জন্য ভাঙা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এরপরেই এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকে জামাত-এ-ইসলামি। সেখানে তারা বলেছে, ‘‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আদালত সর্বশেষ জায়গা। যেখানে সর্বোচ্চ বিচার মেলে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, আদালতও নিরপেক্ষ রায় দিচ্ছে না।’’

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)