1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের বিপক্ষে ওপেক, ক্ষুব্ধ ইউরোপীয় নেতারা

৯ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত শীর্ষ বৈঠকে জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ক যে কোনো চুক্তির বিরোধিতা করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক৷

https://p.dw.com/p/4Zy9t
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, এখনও কিছু দেশ আছে যারা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং ‘ক্ষমতার রাজনীতি' পছন্দ করে৷ছবি: Rafiq Maqbool/AP/picture alliance

ফ্রান্সের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ওপেক-এর এমন অবস্থান ‘‘ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে আরো বিপন্ন করে তুলবে৷''

এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ- ২৮৷ এই সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ক যে কোনো চুক্তির বিরোধিতা করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ওপেক আহ্বান জানানোর পর, শনিবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জার্মানি, স্পেন এবং ফ্রান্সের নেতারা৷

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার অঙ্গীকার করে একটি খসড়া তৈরি করেছেন জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা৷ এরপরই গত সপ্তাহে ১৩ সদস্য ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ১০ মিত্র দেশের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ওপেক মহাসচিব হাইথাম আল ঘাইস৷

চিঠিতে, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিকে লক্ষ্য করে নেয়া যে কোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করতে' অনুরোধ করেন ঘাইস৷

ক্ষমতার রাজনীতি' অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা: বেয়ারবক

জার্মানির জলবায়ু দূত জেনিফার মর্গান বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ক আলোচনা ভেস্তে দেয়ার আহ্বান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে আরো ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘এসব দেশগুলো এখন টিকে থাকার লড়াই করছে৷'' এমন বাস্তবতায়, এমন আহ্বান কোটি মানুষের জীবনকে বিপন্ন করা বলেও মনে করেন তিনি৷

‘‘যখন আমি আমার হৃদয়ে থাকা ছোট দ্বীপগুলোর কথা ভাবি, তাদের কথা কানে বাজে এবং তারপর যখন আমি ওপেকের এই চিঠির কথা শুনি, তখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হই'', বলে জানান তিনি৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, যেসব দেশ তেল ও গ্যাসের উপর খুব বেশি নির্ভর করে, তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷

দুবাইয়ে শনিবার বেয়ারবক আরো বলেন, ‘‘জীবাশ্ম জ্বালানির বিশ্ব থেকে বেরিয়ে আসার উপায়'' খোঁজা হচ্ছে৷

ওপেকের কড়া সমালোচনা করে জার্মানির শীর্ষ এই কূটনীতিক আরো বলেন, এটি কঠিন হয়ে উঠছে কারণ, এখনও কিছু দেশ আছে যারা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং ‘ক্ষমতার রাজনীতি' পছন্দ করে৷

বিস্ময় ক্ষোভ

ওপেক-এর এমন সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফ্রান্সের জ্বালানিমন্ত্রী অ্যাগনেস পানিয়ের রুনাশের এবং স্পেনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ৷

স্পেনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী তেরেসা রিভেরা৷
ওপেক-এর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্পেনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী তেরেসা রিভেরা৷ছবি: Kamran Jebreili/AP Photo/picture alliance

ফরাসি জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওপেক-এর চিঠির কথা শুনে আমি বিস্মিত এবং আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি৷''

তিনি বলেন, ওপেক এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে ভঙ্গুর দেশগুলো ও ওইসব দেশে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের জীবনকে আরো বিপন্ন করে তুলতে চাইছে৷

এমন আহ্বানে প্রভাবিত না হয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আহ্বান জানিয়েছেন এই ফরাসি মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে একট কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চিত করতে হবে৷

স্প্যানিশ মন্ত্রী রিবেরা বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এটি খুব অগ্রহণযোগ্য বিষয়, ওপেকভুক্ত দেশগুলোর যেখানে থাকা উচিত সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসার ওপর জোর দিচ্ছে৷''

তবুও আত্মবিশ্বাসী কপ মহাপরিচালক

কপ ২৮ মহাপরিচালক মজিদ আল-সুওয়াইদি অবশ্য ওপেক-এর চিঠি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন৷ তিনি বলছেন, সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণে আলোচনা চলছে৷

বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি ভালো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷''

টিএম/এডিকে (এএফপি, এপি, ডিপিএ)৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য