1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কপ২৮: দুবাইয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিলো ‘ইরোসন'

২ ডিসেম্বর ২০২৩

জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিলো পরিচালক স্যমন্তক ঘোষের তথ্যচিত্র ইরোসন। কপ২৮-এ দুবাইয়ের তেররে পলিসি সেন্টারে গতকাল প্রদর্শিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি৷

https://p.dw.com/p/4Zhgv
ভারতের পাঁচটি জায়গায় এই তথ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে
ভারতের পাঁচটি জায়গায় এই তথ্যচিত্রের শুটিং হয়েছেছবি: Privat

ভারতের পাঁচটি জায়গায় এই তথ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে৷ আটটি অধ্যায়ে দর্শকদের কাছে পরিবেশ রক্ষার আর্জি জানানো হয়েছে৷ তথ্যচিত্রের সিনেম্যাটোগ্রাফার অর্চিষ্মান সাহা দেখিয়েছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বের সুদূর অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য রাস্তা নির্মাণ প্রকৃতির কতটা ক্ষতি করছে৷

হিমালয়ের অন্যতম জলাভূমিকেই এখন ডিনামাইটের সলতে বলা যেতে পারে৷ তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, আসামের মাজুলিতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে ‘মিসিং' জনজাতি৷

উঠে এসেছে ভারত-নেপাল সীমান্তে কোশি নদীর বন্যার তোড়ে অতিষ্ঠ মানুষের জীবনের গল্প৷ ছবির কথক দীপায়ন দে ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে হিমালয়ের কোলে যোশীমঠ যেন এক মৃত নগরে পরিণত হচ্ছে৷ এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন যাযাবর জনজাতিরা৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং স্থানীয় মানুষের উপর তার প্রভাবের কথাও বলেছেন পরিচালক স্যমন্তক৷

তেররে পলিসি সেন্টারের পরিচালক ড. হিমিতা আপ্তের সঙ্গে সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্টের অমৃতা চ্যাটার্জি, তথ্যচিত্রের কথক ও পরিবেশবিদ দীপায়ন দে, পরিচালক স্যমন্তক ঘোষ এবং সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্টের চিরঞ্জিৎ চ্যাটার্জি
তেররে পলিসি সেন্টারের পরিচালক ড. হিমিতা আপ্তের সঙ্গে সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্টের অমৃতা চ্যাটার্জি, তথ্যচিত্রের কথক ও পরিবেশবিদ দীপায়ন দে, পরিচালক স্যমন্তক ঘোষ এবং সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্টের চিরঞ্জিৎ চ্যাটার্জিছবি: Privat

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের তেররে পলিসি সেন্টারের পরিচাল ড. হিমিতা আপ্তে৷ ছবিটি প্রযোজনা করেছে সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্ট৷

তথ্যচিত্রের ভাবনা সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘‘পরিবেশ নিয়ে কাজ করতেসবসময়ই ভালো লাগে৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন মঞ্চে এটি দেখানো হচ্ছে৷ কপ২৮ তেমনি একটি মঞ্চ৷ স্বাভাবিকভাবেই খুব আনন্দ হচ্ছে৷ এই তথ্যচিত্রের মূল ভাবনা হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে মানুষেরা আক্রান্ত, তাদের কথা তুলে ধরা৷ আশা করি, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে  এ কথা পৌঁছাবে৷''

তথ্যচিত্রের কথক বিখ্যাত পরিবেশবিদ দীপায়ন দে দর্শকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘কপ২৮-এর ব্লু জোন নীতিনির্ধারকদের জায়গা৷ ঠান্ডা ঘরে বসে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যারা কথা বলেন, গ্রামের মানুষের কথা কি তাদের কাছে পৌঁছায়? এ ছবি তাদের কেমন লাগবে জানি না৷ তবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে৷''

তথ্যচিত্রটি সম্পাদনা করেছেন সুব্রত গোস্বামী৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতের হিমালয় থেকে সুন্দরবন, মোট পাঁচটি জায়গায় শুটিং হয়েছে৷ সেইসব এলাকায় কাজ করা খুব সহজ ছিল না৷ আমাদের ক্যামেরা যদি তাদের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয়, সেটাই সবচেয়ে বড় পাওনা৷''

আগামী চারদিনে আরো দুই বার এই তথ্যচিত্র দেখানো হবে দুবাইয়ের কপ২৮-এর আয়োজনে৷

আরকেসি/এফএস