উপলক্ষ্য ভাস্কর্য, লক্ষ্য বাংলাদেশ
১১ ডিসেম্বর ২০২০সঠিক সংখ্যা জানি না, তবে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কয়েক হাজার ভাস্কর্য আছে৷ আর বঙ্গবন্ধু প্রথম রাজনৈতিক নেতাও নন, যার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে৷ তাহলে বাংলাদেশের একটি মহল হঠাৎ এই ভাস্কর্যের পেছনে উঠেপড়ে লাগলেন কেন? মৌলবাদীদের চিৎকার-চেচামেচি-হইচই শুনলে মনে হতে পারে, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ইসলাম বুঝি রসাতলে গেল৷ ব্যাপারটি যে মোটেও তা নয়, তা আপনিও বুঝছেন, আমিও বুঝছি, যারা গলা ফাটাচ্ছেন তারাও বুঝছেন৷ বুঝবেনই যদি তাহলে গলা ফাটাচ্ছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই লুকিয়ে আছে সব প্রশ্নের উত্তর, সব কৌতূহলের অবসান৷ উত্তরটা এক শব্দের- রাজনীতি৷ তবে সমাধানটা জটিল শুধু নয়, জটিলতর, জটিলতম৷
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর৷ এই ৫০ বছরে ভাস্কর্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যায়নি৷ এখন যে তুলতে পারছে, এটাই মৌলবাদী শক্তির অনেক বড় বিজয়৷ সরকারের কেউ কেউ যে তাদের সাথে আলোচনায় বসার কথা বলছে, এটাই তাদের বিজয়৷ সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পরও মাথা গরম না করার কথা বলছেন, এটাই মৌলবাদীদের বিশাল বিজয়৷ ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়, সব ইসলামী দেশেই ভাস্কর্য আছে; এসব বলে যে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, এটাই তাদের বড় বিজয়৷ যিনি বুঝে শুনে তর্ক করেন, তাকে বোঝানো যায় না৷ যিনি বা যারা জেগে ঘুমা্ন, তাকে জাগানো যায় না৷
সরকারের অনেকে মৌলবাদীদের কাছে কৈফিয়ত দেয়ার ভঙ্গিতে বলছেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়৷ এই কৈফিয়ত শুনলে মনে হয়, ভাস্কর্য থাকলে সমস্যা নেই, মূর্তি থাকলেই সমস্যা; ভাস্কর্য ভাঙা যাবে না, কিন্তু মূর্তি ভাঙা যাবে৷ আর মূর্তি যে ভাঙা যাবে, শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে তার প্র্যাকটিক্যাল হয়৷ বাংলাদেশের মৌলবাদীদের আদর্শিক রাষ্ট্র পাকিস্তানে ভাস্কর্য আছে৷ ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরবে ভাস্কর্য আছে৷ বর্তমান বিশ্বে ইসলামী মৌলবাদের নতুন কেন্দ্র তুরস্কে ভাস্কর্য আছে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ভাস্কর্য আছে৷ আলাদা করে বলার চেয়ে এটা বলা ভালো, পৃথিবীর সব দেশেই ভাস্কর্য আছে৷ মামুনুল হকের ভাস্কর্য বিতর্ক শুরুর পর বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান জানিয়েছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকায় আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপন করবে তুরস্ক৷ তারচেয়ে বড় কথা হলো, ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে কোথাও ভাস্কর্য ভাঙার ইতিহাস নেই৷ মিশর, তুরস্কসহ ঐতিহ্যবাহী মুসলমান প্রধান রাষ্ট্রগুলো ইতিহাস-ঐতিহ্য টিকে আছে হাজার বছর ধরে৷ আফগানিস্তানে তালেবানরা ভাস্কর্য ভেঙেছে বটে৷ কিন্তু বিশ্বের কোনো মুসলমানই নিশ্চয়ই তালেবানদের ইসলামী যোদ্ধা বলে স্বীকার করবেন না৷
এসব যুক্তি শুনলে মৌলবাদীরা আরো কট্টর, তারা সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া কারো উদাহরণ মানবেন না৷ ভাস্কর্য ইসলাম বিরোধী, তাই বিশ্বের যেখানে যাই থাকুক; বাংলাদেশে একটি অনন্য রাষ্ট্র, এখানে ভাস্কর্য থাকতে পারবে না৷ আমি এই কথার সাথে একমত৷ বাংলাদেশ অবশ্যই অনন্য একটি রাষ্ট্র৷ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ৷ পবিত্র সংবিধানে প্রত্যেক মানুষের ভাব-চিন্তা-বলার স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা আছে৷ এখানে প্রতিটি মানুষের যে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করার, নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করার, এমনকি কোনো ধর্মে বিশ্বাস না করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে৷ অন্য দেশে থাকুক আর নাই থাকুক, বাংলাদেশে ভাস্কর্য থাকবে৷ ভাস্কর্য তো থাকবেই, তার চেয়ে বেশি মর্যাদায় মূর্তিও থাকবে৷ কারণ সাধারণ ভাস্কর্য দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে৷ আর মূর্তি কোনো কোনো ধর্মের মানুষের বিশ্বাসের জায়গা৷ নানান কারণে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে৷ কিন্তু সংখ্যালঘু মানুষদের ধর্ম, বিশ্বাসের মর্যাদা সুরক্ষিত করা সংখ্যাগুরু মানুষের দায়িত্ব৷ আর নানা ধর্ম, বহু বর্ণের বৈচিত্রেই সৌন্দর্য৷ সেই সৌন্দর্য রক্ষা করাটা যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমন প্রত্যেক মানবিক মানুষেরও দায়িত্ব৷ তাই ভাস্কর্য রক্ষা করার আগে মূর্তি রক্ষা করতে হবে৷ পূজার সময় যাতে আর একটিও প্রতিমা ভাংচুর না হয়, তা নিশ্চিত করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব৷
মুসলমানরা নিশ্চিন্তে নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে; হিন্দুরা পুজা করবে; খ্রিস্টানরা বড়দিনে উৎসব করবে, বৌদ্ধরা ফানুস ওড়াবে৷ সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে, সবাই সবার উৎসবে অংশ নেবে৷ এটাই আবহমান বাংলার সংস্কৃতি৷
কিন্তু একটা উগ্র গোষ্ঠী এই আবহমান বাংলাকে বদলে দিতে চায়, ধর্মের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়৷ এখানেই সেই রাজনীতির জটিলতা৷ ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীন হয়েছিল পাকিস্তান৷ আওয়ামী লীগের মূল সংগঠকদের অনেকেই পাকিস্তান আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন৷ কিন্তু পাকিস্তান গঠনের পরপরই তারা বুঝতে পারেন, ধর্ম কোনো রাষ্ট্রের ভিত্তি হতে পারে না৷
ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত আচার, ব্যক্তিগত বিশ্বাস৷ আর রাষ্ট্র গড়ে ওঠে জাতীয়তার ভিত্তিতে৷ পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের কোনোই যোগসূত্র ছিল না, ধর্মও তাদের বাধতে পারেনি৷ পাকিস্তান গঠনের মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিপরীতে গড়ে ওঠে আওয়ামী মুসলিম লীগ মানে জনগণের মুসলিম লীগ৷ গঠনের ছয় বছরের মাথায় ১৯৫৫ নাম থেকে ‘মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে সব মানুষের অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ৷
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে একটি নতুন রাষ্ট্রের ধারণা৷ বঙ্গবন্ধু যেমন তার সংগঠনকে, তেমনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ধারণাটিই গড়ে তোলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায়৷ কিন্তু তিনি নিজে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন৷
অসাম্প্রদায়িকতার সাথে ইসলাম বা কোনো ধর্মেরই কোনো বিরোধ নেই৷ স্বাধীন দেশে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, এটাই হলো ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা৷ কিন্তু মুক্তি সংগ্রাম ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দিকে এগুলেও পাকিস্তানকে মনে প্রাণে ধারণ করেন এমন মানুষ কিন্তু এই অঞ্চলেও ছিলেন৷ ৭০এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও কিছু মানুষ তাদের বিপক্ষেও ভোট দিয়েছে৷ এমনকি একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এই অংশটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের সহায়তা করেছে৷ কিন্তু ৭০এর নির্বাচনে যেমন তারা হেরেছে, একাত্তরেও হেরেছে৷ কিন্তু ৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়৷ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতার কাছাকাছি, এমনকি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বনে যান৷ সামরিক শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা পাকাপো্ক্ত করতে ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে আনেন৷ নানা মহলের লাই পেয়ে পেয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ ক্ষমতার নানান হিসাব-নিকাশও তাদের সামনে আনে৷ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের চেতনার ধারক এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলেও ভারসাম্যের কৌশলে অপর একটি অংশকে লাই দেয়৷ প্রশ্রয় পেয়ে এই অংশটিই এখন আরো বেপরোয়া৷
তাদের কৌশলটা বড্ড পুরোনো৷ একাত্তরেও মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের দালাল, কাফের, ইসলামের শত্রু হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে৷ কিন্তু তারা পরাজিত হয়েছে৷ ৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্ব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনকেও ইসলাম বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী বলার চেষ্টা হয়েছে৷
কিন্তু সেই আন্দোলনের পথ ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে৷ ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে গড়ে ওঠা মহৎ আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চকেও নাস্তিকদের আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা হয়েছে৷ মাদ্রাসার ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে ঢাকায় এনে সরকার পতনের চেষ্টা হয়েছে৷ কিন্তু সৈয়দ আশরাফের এক ধমক আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কুশলি অভিযানে তাদের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে৷ ৫ মেও মৌলবাদীদের পরাজয়েরই ইতিহাস৷ কিন্তু ৫ মের সমাবেশ আওয়ামী লীগকে হয়তো বিচলিত করেছে৷ হেফাজতে ইসলামের সাথে গোপন সমঝোতার কৌশল নেয় আওয়ামী লীগ৷ তাদের প্রতিবাদের মুখে আটকে যায় নারী নীতি, সরে যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনের ভাস্কর্য, বদলে যায় পাঠ্যপুস্তক৷ এই ছোট ছোট সাফল্য মৌলবাদীদের আরো আত্মবিশ্বাসী ও লোভী করে তোলে৷ তাই তারা এবার প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে৷ তাদের উপলক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, আসল লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ, উদার সহজিয়া সংস্কৃতির বাংলাদেশ৷
সরাসরি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলার হুমকি দিয়ে এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে তারা আসলে লড়াইটা সরাসরি করে দিয়েছে৷ তাদের একমাত্র ঢাল ধর্ম৷ এবং তাদের এই কৌশল বহু পুরোনো৷ একশো বছর আগে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র উপন্যাস ‘লালসালু'র ধর্ম ব্যবসায়ী মজিদের চালেই খেলছেন এখনকার আধুনিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা৷ মজিদও যুক্তিতে না পেরে প্রতিবাদী যুবককে, ‘ঐ মিয়া তোমার দাড়ি নাই কেন' বলে থামিয়ে দিয়েছিল৷ এখনও সেই ইসলামকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়৷ এটা ঠিক কথা বলার, প্রতিবাদ করার অন্য সব স্পেস সঙ্কুচিত হয়েছে বলেই; মাঠে নামার ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে৷ কিছু বললেই বলে, এটা ইসলাম বিরোধী৷ ইসলামকেই অসত্র বানায় তারা৷
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে৷ কিন্তু মতপ্রকাশের নামে কারোরই জাতির জনকের অবমাননা, রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনার ওপর আঘাত করার, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অধিকার নেই৷ সবকিছুর আগে দেশ৷ বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয়৷ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের৷
মৌলবাদীরা বারবার বাংলাদেশের মৌলিক ধারণায় আঘাত করতে চেয়েছে৷ কিন্তু বারবার তাদের ইতিহাস পরাজয়ের৷ তারা ১৯৭০ এ হেরেছে, ১৯৭১ এ হেরেছে, ২০১৩ সালে পালিয়েছে৷ নানান কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্রয় দিলেও বাংলাদেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনোই এই মৌলবাদীদের ছাড় দেয়নি৷ বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, সাম্প্রদাযিক গোষ্ঠীর ভোট কখনোই ৫ শতাংশের বেশি নয়৷ তাও সেই গোষ্ঠির মধ্যেও ধর্মীয় নানা ইস্যুতে বিভক্তি রয়েছে৷ মামুনুল হক আর ফয়জুল করিম স্বাধীনতা বিরোধীর সন্তান৷ তাদের পিতারা পরাজিত হয়েছে৷ এই রাজাকার সন্তানরাও সম্প্রীতির বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে না৷ খালি সরকারকে কঠোর হতে হবে৷ ভোটের কোনো হিসেবেই যেন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কোনো ছাড় দেয়া না হয়৷ অতীত অভিজ্ঞতা বলে ছাড় পেলেই তারা আরো চায়, বিষ সঞ্চয় করে অপেক্ষা করে ছোবলের৷ অশুভ এই শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির ঐক্য দরকার, দরকার সাংস্কৃতিক জাগরণ৷