ইমরান ও বিরোধীদের অভিযোগের লড়াই
৬ এপ্রিল ২০২২ইমরান খানের অভিযোগ, পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের কিনে নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যূত করার চেষ্টা করছে একটি বিদেশি শক্তি। ইমরান বলেছেন, ''আমার সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়েছে। সেই চক্রান্তে যোগ দিয়েছে কিছু বিশ্বাসঘাতক।'' তার দাবি, ''যে কোনো শত্রু দেশ চাইলে প্রচুর অর্থ খরচ করে ২৫ থেকে ৩০ জন পার্লামেন্ট সদস্য কিনে নিতে পারে। ভারতও চাইলে তাদের কিনতে পারে এবং সরকার ফেলে দিতে পারে।''
বিরোধীদের অভিযোগ
ইমরানের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির বন্ধু ফারাহ খান বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পাকিস্তান থেকে দুবাই চলে গেছেন। তিনি এই অর্থ সরকারি কর্মকর্তাদের পছন্দের ট্রান্সফার পোস্টিং করিয়ে পেয়েছেন। সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ফারাহ খানের দুবাই চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ করার পরেই বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন।
নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের অভিযোগ, ইমরান ও তার স্ত্রীর হয়েই এই অর্থ তুলেছেন ফারাহ। ইমরানের ভয়, তিনি একবার ক্ষমতা হারালে তার চুরি ধরা পড়ে যাবে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে সদ্য বরখাস্ত হওয়া গভর্নর চৌধুরী সারওয়ার বলেছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে সেখান থেকে শয়ে শয়ে কোটি রুপি তুলেছেন ফারাহ।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা কোনো সরকরি নীতির পর্যালোচনা করছে না, তারা শুধু ডেপুটি স্পিকারের নির্দেশের সাংবিধানিক বৈধতার দিকটা দেখছে। বিদেশি চক্রান্তের যুক্তি দেখিয়েই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার।
প্রধান বিচারপতি উমর বান্দিয়াল বলেছেন, ''আমরা এখন আইন ও সংবিধান দেখছি। আমরা দেখতে চাই, আদালত ডেপুটি স্পিকারের রুলিং পর্যালোচনা করে দেখতে পারে কিনা। আদালত সরকারের পররাষ্ট্র নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ আমরা নীতি সংক্রান্ত বিষয় দেখছি না।''
বিচারপতি আহসান বলেছেন, তারা এখন শুধু সাংবিধানিক বিষয়টিই বিচার করে দেখছেন।
সুপ্রিম কোর্টেই আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আদালত কখনোই স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের রুলিংয়ের বিচার করতে পারে না। তারই জবাবে বিচারপতিরা ওই মন্তব্য করেছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, পিটিআই, দ্য ডন)