আজই কি নির্ধারণ হবে ইমরান খানের ভাগ্য!
৯ এপ্রিল ২০২২অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়৷ এ অধিবেশনের মধ্যেই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে ইমরান ক্ষমতায় থাকছেন কিনা৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়৷ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার আসাদ কায়সার৷ মুলতবির আগ পর্যন্ত অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান৷ তবে অধিবেশনে উপস্থিত আছেন বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজসহ অনেকেই৷
দেশের ধসে পড়া অর্থনীতি এবং ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো৷ গত ৭ মার্চ জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় তারা৷ ‘অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল এই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি৷ পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট৷
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ডেপুটি স্পিকারের রুলিং অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে বেশি দেরি করা চলবে না৷ আর অনাস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করে অধিবেশন শেষ করা যাবে না৷
রায়ে বলা হয়েছে, এই অবস্থায় সংবিধান অনুসারে ইমরান খান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করতেই পারেন না৷ তার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তও তাই অসাংবিধানিক৷ এর ফলে প্রধানমন্ত্রী, সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পরামর্শদাতারা তাদের পদ ফিরে পাবেন বলে রায়ে বলা হয়েছে৷
শুক্রবারও ইমরান খান বলেছেন তাকে সরানোর পরিকল্পনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে৷ ইসলামাবাদের মসনদ পাল্টানোর ষড়যন্ত্র করছে যুক্তরাষ্ট্র যা তিনি সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবেন৷ তিনি এও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ হয়েছেন, কিন্তু যেহেতু পাকিস্তানের বিচার বিভাগের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন৷
ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফের সদস্যরা শুক্রবার জানান, তারা চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব অনাস্থা ভোটকে বিলম্ব করতে৷ আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ রয়টার্সকে জানান, ভোট মধ্যরাত পর্যন্ত গড়াতে পারে৷
বিরোধী দলগুলো এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইমরান খান সেনাবাহিনীর সাথে মিলে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন৷ যদিও দুই পক্ষই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর গত ৭৫ বছরের মধ্যে অর্ধেক সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী৷ এ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারেননি৷
এদিকে, রাজনৈতিক এই সংকটের কারণে পাকিস্তানের রুপির দাম অনেক পড়ে গেছে৷
এপিবি/এফএস (এপি, এএফপি, রয়টার্স)