আগুন কেন লাগলো, নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না পুলিশ
১ মার্চ ২০২৪পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের(সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া রাত পৌনে তিনটা নাগাদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিচতলা থেকেই আগুন লাগে।
প্রথম আলো জানিয়েছে, মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ''শর্ট সার্কিট নাকি গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বা গ্যাস লিক করার ফলে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা জিনিসের কেমিক্যাল পরীক্ষা হবে। তারপর আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে।''
সিআইডি প্রধান বলেছেন, ''মরদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তদন্ত করে যদি দেখা যায়, কারো দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।''
ছয়তলা ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জন মারা গেছেন৷ চিকিৎসাধীন ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ''ভবনের প্রতিটি তলায় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।'' তার ধারণা, চুলা থেকে বা গ্যাস লিক করে আগুন লাগতে পারে।
র্যাব-৩ এর এএসপি কামরুল হাসান বিডিনিউজ২৪ডটকমকে বলেছেন, ''প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, নিচতলা থেকে আগুন উপরের দিকে উঠেছে।''
দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে ফারায় সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে।
তারা বলেছেন, ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল এবং আগুন লাগলে বা কোনো জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরোবার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া ভবনটিতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেছেন, 'এই ধরনের বাণিজ্যিক ভবনে শুধু একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা একেবারেই মেনে নেয়া যায় না।। এটি অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি।'
রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এই বহুতল ভবনে অনেকগুলি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। তাই আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও ভয়াবহ রূপ নেয়।
জিএইচ/এসজি(দ্য ডেইলি স্টার, এএফপি, রয়টার্স)