হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের বিচারের রায় চলতি সপ্তাহে
১৮ নভেম্বর ২০২৪বিচারকাজ ও অপরাধী সাব্যস্ত করার এই প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ অন্যদিকে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ৷ এ নিয়ে ‘ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপ্রসূত অপবাদ' ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে তারা৷
২০২১ সালে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দীর্ঘ এই বিচারকার্য শুরু হয়৷ মঙ্গলবার সরকারের বাছাইকৃত তিন জাতীয় নিরাপত্তা বিচারক এর সমাপ্তি টানবেন৷ গ্রেপ্তারকৃতদের কয়েক বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে৷
২০১৯ সালে বেইজিং জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করার চেষ্টা করলে হংকঙে ব্যাপক আকারে গণ আন্দোলন শুরু হয়৷
২০২০ সালের জুলাই মাসে নির্বাচনের আগে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের একটি প্রস্তাবকে ঘিরে বাড়তে থাকে টানাপোড়েন৷ সরকারপক্ষের মতে এই প্রস্তাবের সাহায্যে সরকারকে ‘পঙ্গু' করে দিতে চায় এই আন্দোলন৷
কিন্তু গণতন্ত্রপন্থিদের মতে এটি আসলে শহরের নির্বাচনে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের সাধারণ প্রচেষ্টা ছিল মাত্র৷
এই মামলার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের৷ অভিযোগ ওঠে যে এই মামলার কাজে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ছোঁয়া রয়েছে৷ তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কূটনীতিকরা শুনানির সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷
‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' এমন কাঠামোর অধীনে ১৯৯৭ সালে হংকং ব্রিটিশ কর্তৃত্ব থেকে চীনা শাসনের আওতায় আসে৷ এই ব্যবস্থায় চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে হংকংয়ে অধিকতর স্বাধীনতা আসে৷ সমালোচকদের অভিযোগ ২০২০ সালের জুলাইতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক দেশ, দুই ব্যবস্থার এই মডেল বাধাগ্রস্ত হয়, যা অস্বীকার করে আসছে বেইজিং৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)