সারা বিশ্বে কনসার্টের টিকিট বিক্রিতে সেরা বন জোভি
১ জানুয়ারি ২০১১এবং এ'ও মনে রাখা দরকার: বন জোভির কনসার্ট দেখতে ভিড় করেন সারা পৃথিবীর মানুষ৷ টিকিট বিক্রিও অর্ধেক উত্তর আমেরিকায়, বাকি অর্ধেক বাকি বিশ্বে৷ ‘‘পোলস্টার'' ম্যাগাজিনের পরিসংখ্যান এ'সব৷ ২০১০-এ'ই বন জোভির এই ছছল-বছল কেন, তা বোঝা শক্ত৷ কেননা তাদের ২০০৯ সালের এ্যালবামটি বিশেষ ভালো বিক্রি হয়নি৷
ওদিকে বিগত বছরে রক-পপ গানের জলসায় অনুরাগীদের ভিড় কিন্তু বাড়েনি, বরং কমেছে৷ বিশ্বের প্রথম ৫০টি টুরিং গোষ্ঠীর টিকিটের বিক্রি ১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে - প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে৷ কনসার্ট থেকে অর্থোপার্জনে দ্বিতীয় স্থানে হার্ড রক গোষ্ঠী এসি/ডিসি, তাদের আমদানি ১৭৭ মিলিয়ন; তৃতীয় স্থানে আইরিশ গোষ্ঠী ইউ-টু, তারা কামিয়েছে প্রায় ১৬১ মিলিয়ন৷ মজার কথা, চতুর্থ স্থানে সেই মার্কিনি পপস্টার যিনি ম্যাডোনা'র উত্তরাধিকারী বলে পরিচিত: লেডি গাগা৷ ইনি এবং তাঁর ‘‘পোকার ফেস'' গোষ্ঠীর উপার্জন ছিল ১৩৩ মিলিয়নের বেশী৷ অবশ্য লেডি গাগা খেটেছেনও খুব: এক বছরে মোট ১৩৮টি শো করেছেন, তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ছিল মার্কিন মুলুকের বাইরে৷ সে তুলনায় বন জোভি মাত্র ৮০টি জলসা করে৷
তালিকার অন্যান্যদেরও নাম করা দরকার: পঞ্চমে সেই মেটালিকা গোষ্ঠী, হার্ড রকের অপর স্তম্ভ৷ ষষ্ঠ ক্যানাডার সুকণ্ঠ গায়ক মাইকেল বুবলে৷ আবার অষ্টম স্থানে পাওয়া যাবে বিটলসদের পল ম্যাককার্টনিকে৷ - আর টাকা করার বাইরেও যদি অন্য কোনো কিছু বিচার্য হয়, তা'হলে বলতেই হবে যে, বন জোভি চিরকালই ঐ চটকদার ‘‘সফ্ট রক'' পর্যায়ের গান গেয়ে থাকেন৷ সঙ্গে থাকে রিচি সাম্বোরার ইলেকট্রিক গিটার৷ দেখতে দুজনেই চিরতরুণ, চল্লিশ পার করেও৷ এবং তাঁদের কনসার্টে মহিলাদের ভিড়ই বেশী হয়ে থাকে৷
আসলে পোলস্টারের তালিকা থেকে শুধু দু'টো জিনিষই প্রমাণ হয়: ইন্টানেট থেকে গান ডাউনলোড করার যুগে এই ‘লাইভ' কনসার্টগুলো হলো শিল্পীদের অর্থোপার্জন করার একটি মূল পন্থা৷ দ্বিতীয়ত, শ্রোতা-দর্শকরা সব বয়সের এবং সব ধরণের রুচির৷ তাঁরা নতুন-পুরনো মিশিয়েই গানের দুনিয়াটাকে চান৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই