1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে সফল মঙ্গলাভিযান

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

কর্নাটকের শ্রীহরিকোটা থেকে ৩০০ দিন আগে যে মঙ্গল অভিযান শুরু হয়, আশা-নিরাশার দোলাচলে থাকার পর ২৪শে সেপ্টেম্বর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সেই চেষ্টা সফল করে এক ইতিহাস গড়লেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানিরা৷

https://p.dw.com/p/1DJki
Bildergalerie Indien Mars Orbiter Mangalyaan
ছবি: Reuters/Abhishek N. Chinnappa

শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা প্রথম চেষ্টাতেই মঙ্গল অভিযান সফল করে সারা বিশ্বের সামনে রাখলেন এক বেনজির দৃষ্টান্ত৷ মঙ্গলযানের যাত্রা শুরু হয়েছিল পিএসএলভি রকেটে চেপে ৩০০ দিন আগে, অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৬ই নভেম্বর৷ রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা এবং দুশ্চিন্তার পর পৃথিবী থেকে ৬৫ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত বুধবার ২৪শে সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে ভারতের মঙ্গলযান ‘মার্স অরবিটার মিশন' সংক্ষেপে ‘মম'৷ এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে. রাধাকৃষ্ণান৷ ইসরো কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে এই বেনজির সাফল্যের সাক্ষী হয়ে রইলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে গোটা দেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ফেটে পড়ে৷ প্রতিটি স্কুল পাঁচ মিনিট ধরে করতালি দিয়ে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অভিন্দন জানায়৷ অভিনন্দন জানায় মার্কিন মহাকাশ কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরাও৷

মঙ্গল অভিযানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ের ২৪ মিনিট৷ ঐ সময় মঙ্গলযানের ‘লিকুইড অ্যাপোজি মোটর' সংক্ষেপে ‘ল্যাম' ইঞ্জিন চালু করে মঙ্গলযানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা মঙ্গলযানের গতি ছিল সেকেন্ডে ২২ কিলোমিটার৷ সেটাকে কমিয়ে আনতে হতো ৪.৪ কিলোমিটারে, তা না করতে পারলে মঙ্গলযান লাল গ্রহের মাধ্যাকর্ষণের বাইরে বেরিয়ে যেত৷ মঙ্গলের উপ-বৃত্তাকার কক্ষপথের আওতায় আসার পাঁচ মিনিট পর চালু করা হয় ল্যাম৷ সামান্যতম ভুলচুকে গোটা মিশন ব্যর্থ হতে পারতো৷ কিন্তু বিজ্ঞানীদের সতর্ক ও নির্ভুল পদক্ষেপ তা হতে দেয়নি৷ এই সাফল্যে বিশ্বের বাছা বাছা কয়েকটি মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে একাসনে বসার যোগ্যতা অর্জন করলো ভারত৷

এর আগে ৫১টি মঙ্গল অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ২১টি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপীয়ান মহাকাশ সংস্থা৷ এশিয়ার মধ্যে ভারতই প্রথম মঙ্গলের কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতিস্থাপন করে এই সাফল্য পেল, তাও আবার প্রথম চেষ্টাতেই৷ শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্তব্য করেন যে, ইসরোর এই সাফল্য বিজ্ঞানী মহলকে আরো উজ্জ্বিবীত করবে৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী চন্দ্রাভিযান সফল করেছিলেন, আর এবারের সাফল্য মঙ্গলাভিযানে৷

উল্লেখ্য, কয়েকদিনের ব্যবধানে নাসার মঙ্গল মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে পাঠাতে খরচ হয়েছিল ৪৮ কোটি ডলার আর ভারত সেই কাজই করে দেখালো মাত্র সাত কোটি ডলারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য