মঙ্গলগ্রহের পথে ভারতের ‘মঙ্গলায়ন’
মঙ্গলবার ভারতের একটি অর্বিটার সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে৷ সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের পর তারা হবে চতুর্থ রাষ্ট্র যারা সফলভাবে মঙ্গল মিশন শেষ করবে৷
যাত্রা শুরু
৫ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে ভারতের একটি অর্বিটার সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে৷ এর মাধ্যমে প্রযুক্তি জগতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করল ভারত৷ মিশনের উদ্দেশ্য, লাল গ্রহের পরিবেশে মিথেনের উপস্থিতি আছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা৷
৪.৫ বিলিয়ন রূপি
এই মিশনের জন্য ভারত ব্যয় করেছে ৪.৫ বিলিয়ন রূপি৷ একটি বোয়িং ৭৮৭ বিমানের দাম তার চেয়ে দ্বিগুন৷ ‘মঙ্গলায়ন’ নামের এই অর্বিটারটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গল গ্রহের অর্বিটে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এই দীর্ঘ সময়ে সে পাড়ি দেবে ৪২২ মিলিয়ন মাইল পথ৷
সফল হলে এলিট ক্লাবে
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের মঙ্গল মিশন সফল হয়েছে৷ ফলে ভারত সফল হলে তারা এলিট ক্লাবে প্রবেশ করবে৷ এছাড়া এশিয়ার মধ্যে তারা হবে প্রথম৷
অর্ধেকই ব্যর্থ
এখন পর্যন্ত মঙ্গলকে ঘিরে প্রায় ৪০টি মিশন হয়েছে৷ এর মধ্যে ২০১১ সালে চীন আর ১৯৯৯ সালে জাপানের সহ ২৩টিই ব্যর্থ হয়েছে৷
দিল্লি-বেইজিং প্রতিযোগিতা?
রাশিয়া ও চীনের একটি মঙ্গল মিশন ব্যর্থ হওয়ার কয়েক মাস পর গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং মঙ্গলায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ ফলে দিল্লি আর বেইজিংয়ের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতার গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা৷
উদ্দেশ্য বহুবিধ
ভারত প্রতি বছর মহাকাশ কর্মসূচির জন্য প্রায় এক বিলিয়ন ডলার খরচ করে৷ এর আওতায় এখন পর্যন্ত কৃত্রিম উপগ্রহ ও অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির অবক্ষয়, বন্যার প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ সহ অনেক কাজ করা যাচ্ছে৷
আরও পরিকল্পনা
২০০৮ সালে সফলভাবে প্রথম চন্দ্র মিশন শেষ করার পর ২০১৬-১৭ সালে আবারও চাঁদে মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভারত৷ এছাড়া মহাকাশচারীসহ স্পেস ফ্লাইট পরিচালনারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ তবে এই বিষয়টা এখনও সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে৷