তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনে ৪ জনের মৃত্যু
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে অন্যরা কয়েকটি বগিতে আগুন দেখতে পান। তবে ট্রেনটি থামতে থামতে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ট্রেনের চাকায় আগুন লেগে গেলেও ট্রেনের বাইরে কোনো আগুন লাগেনি।
'আগুন শুধুমাত্র ট্রেনের বগির ভিতরে ছিল, তাই আমরা সন্দেহ করছি যে এটি ভিতর থেকেই লেগে থাকতে পারে, বলেন তিনি।
কমলাপুরে ঘটনাস্থল থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে বলা হচ্ছে, পেট্রোল ব্যবহার না করলে এত দ্রুত আগুন ছড়ানো সম্ভব নয়।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই ঘটনায় নাশকতার আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই।
পিবিআই পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, "আমরা সন্দেহ করছি যে তিন ব্যক্তি বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনের তিনটি বগিতে উঠেছিলেন তারা পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন।"
তিনি জানান, বিমানবন্দর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ এবং কারা সেখান থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং তেজগাঁও স্টেশন থেকে কারা নেমেছেন তা জানার চেষ্টা করছে।
বিএনপির নিন্দা, শোক ও সন্দেহ
এ ঘটনায় উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বিবৃতিতে এই ঘটনার অন্য কোনো দিক আছে কিনা, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, "মহল বিশেষের প্রশ্রয় ছাড়া এ ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ সম্ভব নয়। মূলত চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কুটচাল কি না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা।"
এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বানও জানানো হয়েছে বিএনপির বিবৃতিতে।
আরো কয়েক জায়গায় বাসে আগুন
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে গুলিস্তানের জিপিও এলাকায় মালঞ্চ পরিবহণের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
দমকলবাহিনী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসে এ সময় কোনো যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের চন্দনাইশেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের বাদামতল এলাকায় একটি থেমে থাকা বাসে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ডেইলি স্টার।
বাসটি বিজিটি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা, এবং তখন পার্ক করা ছিল। ফলে এই ঘটনাতেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এই দুই ঘটনাতেই জড়িতদের ব্যাপারে জানতে পারেনি পুলিশ। তবে জানানো হয়েছে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এডিকে/কেএম