টিনএজারদের ফোন ব্যবহার
২১ মে ২০১৪বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, এ বিষয়ে এ পর্যন্ত করা সবচেয়ে বড় গবেষণা হতে যাচ্ছে এটি৷ দুই বছর ধরে ১১-১২ বছর বয়সি প্রায় আড়াই হাজার স্কুলগামী কিশোর-কিশোরী ও তাদের বাবা-মার উপর এই জরিপ চালানো হবে৷
লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেল্থ ‘দ্য স্টাডি অফ কগনিশন, অ্যাডলসেন্টস অ্যান্ড মোবাইল ফোনস' বা এসসিএএমপি নামের এই গবেষণাটি পরিচালনা করবে৷
এই প্রতিষ্ঠানের একজন গবেষক পল ইলিয়ট বলেন, ‘‘১০ বছরেরও কম সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও মস্তিষ্কের ক্যানসারের মধ্যে যে কোনো সম্পর্ক নেই, তা জানা গেছে৷ কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় ধরে এবং বেশি বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারে কি হতে পারে, কিংবা শিশু-কিশোরদের উপর মোবাইল ফোন ব্যবহারের কি প্রভাব পড়তে পারে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়৷''
জরিপে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও তাদের বাবা-মাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে৷ এর মাধ্যমে টিনএজাররা দিনে কতক্ষণ এবং কি কাজে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ওয়্যারলেস প্রযুক্তি (যেগুলো থেকে বেতার তরঙ্গ নির্গত হয়) ব্যবহার করে তা বের করা হবে৷
এছাড়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন টেস্টেও অংশ নেবে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা৷ এর মাধ্যমে তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া, সিদ্ধান্ত নেয়া ও কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় নির্ণয় করা হবে৷
এর মাধ্যমে টিনএজারদের বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ক্ষমতা তথা মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা, তা বের করা যাবে বলে আশা করছেন জরিপের প্রধান গবেষক মিরাইল টলেডানো৷
উল্লেখ্য, ১১-১২ বছর বয়সি ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে৷ আর ১৪ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এই হারটা প্রায় ৯০ শতাংশ৷ যদিও ব্রিটিশ স্বাস্থ্য নীতি বলে, ১৬ বছরের কম বয়সিদের, শুধুমাত্র জরুরি হলে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া উচিত৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এপি)