শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা
৬ মার্চ ২০১৮দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা সরকার৷ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দ্বীপ রাষ্ট্রের কোনো কোনো এলাকায় ধর্মীয় হানাহানি শুরু হওয়ার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে৷
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহান্তে৷ অভিযোগ, শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি শহরে এক বৌদ্ধকে খুন করা হয়৷ এরপরেই বিভিন্ন মুসলিম মহল্লায় দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দিতে শুরু করে একটি উগ্র বৌদ্ধ সংগঠন৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ এবং সেনা নামানো হয়৷ কিন্তু ঘটনার রেশ অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ায় দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা৷ তাঁর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে৷
শ্রীলঙ্কায় ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর বাস৷ মুসিলম জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ১০ শতাংশ৷ ১৩ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী৷ বদু বালা সেনা নামে একটি উগ্র বৌদ্ধ সংগঠন বহুদিন ধরেই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানারকম হিংসামূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে৷ কয়েকবছর আগেই শ্রীলঙ্কায় এক ভয়াবহ ধর্মীয়সংঘর্ষ হয়েছিল৷ প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ বস্তুত, ২০১৪ সাল থেকে লাগাতার ধর্মীয় সংঘর্ষ অব্যাহত ওই দেশে৷ দেশের বর্তমান প্রধান ক্ষমতায় এসেই উগ্র বৌদ্ধ সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ৷
এদিকে কলম্বোয় শুরু হয়েছে ত্রীদেশীয় নিদাহাস ট্রফি৷ ভারত এবং শ্রীলঙ্কার হওয়ার কথা আজ৷ বাংলাদেশও ত্রীদেশীয় সিরিজে যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছে শ্রীলঙ্কায়৷ শ্রীলঙ্কা বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খেলা নির্বিঘ্নেই চলবে৷ কারণ কলম্বোয় কোনো সমস্যা হয়নি৷ ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই-এর তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলেও এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের কোনোরকম নিরাপত্তার অভাব আছে বলে মনে করছে না দলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ৷ ফলে এখনই দলকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না৷
এসজি/ডিজি (রয়টার্স, এফপি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)