গাজার চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ
১৯ জানুয়ারি ২০০৯এমাসের শুরুতে অথ্যাৎ ৩রা জানুয়ারী ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে৷ আর এরপর থেকেই গাজার পরিস্থিতি মারাত্নক আকার ধারণ করেছিল৷ এই অবস্থার অবসান হতে চলেছে বলেই আজ মনে করা হচ্ছে৷ আমরা জানতে পেরেছি, গাজা থেকে আজ আরও ইসরায়েলী সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার রাতের মধ্যে গাজা থেকে সকল সেনা সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল৷
রোববার হামাসের পক্ষ থেকেও অস্ত্রবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়৷ এবং তারা শর্ত দেয় যে এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলকে গাজা থেকে সব সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে৷ ইতিমধ্যে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে উত্তর গাজায় ইসরায়েলী সেনাদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে বলে খবরে প্রকাশ৷ অবশ্য সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজা সিটি এখন শান্ত৷ তবে হামাস নেতারা বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলকে তাদের সকল সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে এবং সেই সঙ্গে মানবিক সহায়তাকারীদের আসতে সীমান্ত পথ বা গাজার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে হবে৷ অবশ্য এ বিষয়ে একসুরে কথা বলছেন, ইউরোপের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আলোচনাকারী এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার৷ আর মঙ্গলবার গাজা সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷
গাজায় ইসরায়েলী ১৩১০ জন মারা গেছে৷ এর মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যা ৫১৪ জন৷ গত রবিবার উদ্ধারকারীরা গাজা সিটি থেকে প্রায় একশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে৷ তবে কর্মকর্তাদের মতে, নিহত সাধারণ নাগরিকদের সংখ্যা আরও বেশি৷ কারণ এখনো তারা মৃতদেহ খুজে পাচ্ছেন৷ ইসরায়েলী হামলায় আহতের সংখ্যা অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার৷ আর এই যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ৷ এবার হামাসের হামলায় মারা গেছে ১৩ ইসরায়েলী৷ এর মধ্যে ১০ জনই সেনাবাহিনীর সদস্য৷
এদিকে, কুয়েত সিটিতে আরব দেশগুলোর নেতারা আলোচনা করছেন কি করে গাজায় একটি স্থায়ী শান্তি কাঠামো গড়ে তোলা যায়৷ তারা বলেছেন, এ অঞ্চলের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে৷ এখানে সৌদি আরব গাজার ধ্বংসজজ্ঞ থেকে পূনর্গঠনে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবার ঘোষনা দিয়েছে৷