1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্টবেঙ্গল: ১২ বছর পর ট্রফি, কলকাতায় বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

সোমবার কলকাতা ছিল ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের দখলে। প্রিয় টিমকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় নামে কাতারে কাতারে সমর্থক।

https://p.dw.com/p/4bohZ
কলকাতা বিমানবন্দরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ছবি।
কলিঙ্গ সুপার কাপ জেতার পর উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা টিমকে স্বাগত জানাবার জন্য প্রচুর সংখ্যায় বিমানবন্দরে যান। ছবি: Subrata Goswami/DW

রোববার ওড়িশায় কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। এএফসি কাপে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বড় কথা ১২ বছর পর শতাব্দীপ্রাচীন কাপে একটা সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকেছে। তাই সমর্থকদের আনন্দের সীমা ছিল না। প্রচুর মানুষ বিমানবন্দরে গিয়ে প্রিয় টিমকে অভ্যর্থনা জানাতে যান।

বিমানবন্দর থেকে টিম আসে ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে। যে যাত্রাপথে মিনিট পঁয়তাল্লিশ লাগার কথা, তা তিনঘণ্টা লেগে যায়। অন্তত এক হাজার মোটর সাইকেল আরোহী ক্লাব সমর্থক বাসের আগে ছিল। রস্তার দুই ধারে ছিলেন অজস্র সমর্থক।

বিমানবন্দরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররা বিমানবন্দরের বাইরে আসতেই সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে অব্যর্থনা জানান। ছবি: Subrata Goswami/DW

ইস্টবেঙ্গল মাঠে এই জয়ের জন্য একটা ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। কোচ কুয়াদ্রাত ও প্লেয়াররা ক্লাবে ঢুকে মাঠে যান। সেখানে ক্লাবকর্তারা ছিলেন। কিন্তু উপস্থিত সামান্য কিছু পুলিশের বাধা টপকে দলে দলে সমর্থক মাঠে ঢুকে পড়েন।

দ্রুত কেক কেটে, কাপ হাতে ফটো সেশনের পর কোচ ও ফুটবলারদের নিয়ে ক্লাব তাঁবুতে ঢুকে পড়েন কর্মকর্তারা।

আসলে যে ইস্টবেঙ্গল আগে প্রতি বছর ভারতের একাধিক জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জিততো, তাদের অবস্থা গত ১২ বছরে শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল। প্রতিযোগিতা জেতা দূরস্থান, বিভিন্ন দলের কাছে সমানে হারছিল দল। ভালো স্পনসরের অভাব ছিল। ফলে সমর্থকদের হতাশা বাড়ছিল। আর ভারতীয় ফুটবল দলের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের কোটি কোটি সমর্থক আছে।

বিমানবন্দরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ছবি।
ছিল তোড়ন, ছিল লাল-হলুদ জার্সি পরিহিত ক্লাব সমর্থকরা।ছবি: Subrata Goswami/DW

এবার সেই ইস্টবেঙ্গল টিমের ভোল বদলে দিয়েছেন স্পেনের কোচ কুয়াদ্রাত। গতবছর ডরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠে ইস্টবেঙ্গল।সেখানেই  লিগ পর্যায়ে বহুবছর পর মোহনবাগানকে হারায় তারা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএলেও পরপর পাঁচটি ম্যাচ হারেনি ইস্টবেঙ্গল। এই অবস্থায় সুপার কাপ খেলতে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।

সুপার কাপে মোহনবাগান সহ একের পর এক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে জয় পায় তারা। ফাইনালে খুবই শক্তিশালী ওড়িশা এফসি-কে ৩-২ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে ওড়িশা গোল দিয়ে এগিয়ে গেলেও পরপর দুইটি গোল করে ইস্টবেঙ্গল। অতিরিক্ত সময়ে শেষ গোল করেন অধিনায়ক ব্রাজিলিয়ান ক্লেটন সিলভা। এই ক্লেটনও একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিমানবন্দরের বাইরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
১২ বছর পর ক্লাব আবার জাতীয় প্রতিয়োগিতায় জেতায় সমর্থকদের আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা। ছবি: Subrata Goswami/DW

এই জয়ের পরেই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে। ওড়িশাতেও কয়েক হাজার সমর্থক গেছিলেন। তারপর দল কলকাতায় ফেরার পর তো সোমবার বিকেল থেকে কলকাতার রং ছিল লাল-হলুদ।

ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মাঝে কোচ কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ কুয়াদ্রাতকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল সবচেয়ে বেশি।ছবি: Subrata Goswami/DW

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)