1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৮০০ চামড়া মাটির নীচে!

১৩ আগস্ট ২০১৯

নগণ্য দামে বিক্রি না করে সৈয়দপুরে কোরবানির পশুর আট শতাধিক চামড়া মাটির নীচে পুতে ফেলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3NqLE
Afghanistan Herat Lederfabrik
ছবি: DW/Shoib Tanha Shokran

‘এক নজরে সৈয়দপুর' নামে একটি ফেসবুক পেজে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলার ভিডিওটি শেয়ার করা হয়৷

সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘রিজিকের মালিক আল্লাহ৷ যারা চামড়া সিন্ডিকেট করে, তাদের কাছে মাথানত না করে সব চামড়া মাটিতে পুতে ফেলুন৷ আজ ৫০/৬০ টাকা দরে চামড়া বিক্রি করলে তা একটা প্রথা হয়ে দাঁড়াবে, তখন প্রতি বছরই এত কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হবে৷ দু-তিন বছর ওদের কাছে চামড়া বিক্রি না করলে ওরা চামড়া সংকটে পড়বে, তখন এমনিতেই চামড়ার দাম বাড়বে৷ জামেয়া সৈয়দপুরের কুরবানির প্রায় ৮০০ চামড়া মাটিতে দাফন করার কাজ চলছে৷''

বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার অর্ধেক হয় কোরবানির মৌসুমে৷ যারা কোরবানি দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন ট্যানারিতে৷ এ সময়ই সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করেন ট্যানারি মালিকরা৷ 

এবার চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ার জন্য ‘সিন্ডিকেটের কারসাজির' অভিযোগ করেছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা৷

উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার দিনাজপুরের রামনগরে ক্রেতা মিলছে না৷ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বাজারে ফেলেই চলে যাচ্ছেন৷

মঙ্গলবার ওই বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ঈদের দিন কেনা চামড়া নিয়ে বসে আছেন৷ কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই৷

দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, ‘‘ঢাকার ট্যানারিতে প্রচুর চামড়া অবিক্রিত আছে৷ তাই এখন আর চামড়া কিনে বিক্রির নিশ্চয়তা নেই৷''

আর সমিতির সাবেক সভাপতি আকতার আজিজ বলেন, ‘‘ছাগলের চামড়া কেউ কিনছে না৷ কারণ, লবণজাত করতে যে খরচ, বিক্রি করে তা-ও উঠবে না৷''

এসআই/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)