৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পি কে হালদার
২৭ মে ২০২২বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের থেকে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় এবং বেআইনিভাবে ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল স্ট্রিটের নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের ৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র অফিসাররা এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনে তাদের জেরা করতে পারবেন বলেও বিচারক জানিয়েছেন।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ''পি কে হালদারের কার্যকলাপ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে।''
আইনজীবীর দাবি, তদন্তে দেখা গেছে, ''পি কে হালদার প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন। তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কথা জানা গেছে। কিন্তু তিনি কোনো আয়ের উৎসের কথা জানাতে পারেননি। এই বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে।''
আইনজীবী বলেছেন, ''সংবাদমাধ্যমকে এইটুকুই জানানো যেতে পারে যে, এখনো পর্যন্ত তার ১৩টি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রচুর জমিও কিনেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছিল, যা দিয়ে মূলত ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি কেনা হয়েছে।''
আইনজীবী জানিয়েছেন, ''তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী মানুষ জড়িত থাকতে পারেন, তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম জানানো যাচ্ছে না।''
গত ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারপর থেকেই আদালতের নির্দেশে পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা জেল হেফাজতে আছেন।