এলজিবিটি সম্প্রদায়ের নতুন পিটিশন
২৯ জুন ২০১৬
ঋতু ডালমিয়া, আমন নাথ এবং নৃত্যশিল্পী এনএস জোহর-এর মতো তারকারা সমাকামীদের অধিকারের জন্য ৩৭৭ অনুচ্ছেদটি বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বুধবার আবেদন করেছিলেন৷ গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর এ দিন প্রথম আদালত বসে৷ আবেদনে তাঁরা বলেছিলেন, এই দণ্ডবিধির কারণে তাঁদের অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে৷ এ আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার শুনানি হবে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি৷
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০১৩ সালে দেওয়া রায়টি পুনর্বিবেচনা করতে সম্মত হন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷ ২রা ফেব্রুয়ারি সমকামী নারী, পুরুষ, উভকামী ও রূপান্তরকামীদের জন্য এটি সুখবর বয়ে আনে৷ ভারতীয় দণ্ড-বিধির ৩৭৭ অনুচ্ছেদকে বৈধ বলে দু'বছর আগের দেওয়া সর্বোচ্চ আদালতের রায়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ আমলে চালু হয় ঐ অনুচ্ছেদ৷
লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে জাতিসংঘে কাল একটি ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ তবে সেখানে ভারতের এই বিষয়টি প্রাধান্য পাবে কিনা – তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷
শীর্ষ আদালত বলেছিল, ৩৭৭ অনুচ্ছেদের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনে সাংবিধানিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যু তোলা হয়েছে৷ ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট ৩৭৭ অনুচ্ছেদ খারিজ করে সমকামিতা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল৷ কিন্তু তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা পড়ে৷ এরপর ২০১৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ঐ রায় খারিজ করে অপর এক রায়ে ৩৭৭ অনুচ্ছেদের (অস্বাভাবিক যৌন অপরাধ) বৈধতা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট৷ শুধু তাই নয়, সেই রায় খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে পেশ হওয়া একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশনকেও ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এক নির্দেশের মাধ্যমে খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত৷ এর বিরুদ্ধেই কিউরেটিভ পিটিশন পেশ করে নাজ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও এবং সমকামীদের অধিকার রক্ষা আন্দোলন কর্মীরা৷ তাঁরা জানায়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পর বহু সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামীরা তাঁদের যৌন পরিচিতি খোলাখুলি প্রকাশ করেন৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ৩৭৭ অনুচ্ছেদ বৈধ বলে রায় দেওয়ায় তাঁরা আবারো বিপন্ন বোধ করছেন৷
এপিবি/ডিজি (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, এপি)
আপনাকে যদি সিদ্ধান্ত নিতে বলা হতো, আপনি কি তবে সমকামিতাকে বৈধতা দিতেন? লিখুন নীচের ঘরে৷