1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারে মারা গেছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ

২৮ মে ২০০৯

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার আবারো কিছুটা কমেছে৷ ধুমপান কমানো, আগাম শনাক্তকরণ এবং ভালো চিকিৎসার ওপরে বিশেষজ্ঞরা জোডর দেয়ার পর ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Hype
ছবি: picture-alliance

বুধবার আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ক্যান্সারে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়৷ নতুন এই সংখ্যা অনুযায়ী মৃত্যুর হার শতকরা ২ ভাগ কমেছে৷ তবে মৃতের হার কমার মাত্রা খুব বেশি না হলেও গত বছরের তুলনায় তা অনেকটাই ভালো৷ ক্যান্সারে মৃতের হার কমার এই অগ্রগতিতে ক্যান্সার সোসাইটি আনন্দিত৷

হৃদরোগের পর আমেরিকায় দ্বিতীয় মারণব্যাধিই হচ্ছে ক্যান্সার৷ ১৯৯০ দশকের প্রথম থেকেই ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কিছুটা কমছে৷ নতুন এই হার অনুযায়ী প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১৮১ জন প্রাণ হারাচ্ছে ক্যন্সারে৷ ২০০৫ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮৪ জন৷

এদিকে একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শৈশবে ক্যান্সার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া শিশুদের মধ্যে সারা জীবনই ক্যান্সারে নতুন করে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকে যায়৷ ১৯৭৫ সালের পরে, ৫০ হাজার জনের ওপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে, চিকিৎসার পরেও তাদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়৷ তবে তারপরেও শিশুকালের ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাবার মাত্রায় একটা বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে৷

কোপেনহেগেন-এ ক্যান্সার এপিডেমিওলোজি ইন্সটিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৪৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে, ২০ বছর বয়সের আগেই যাদের দেহে ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করা হয়েছিল, বাকি জীবনে তাদের সবার দেহেই ৩ বার নতুন ধরনের ক্যান্সারের সংক্রমণ ঘটেছে৷ ৭০ বছর বয়সী লোকজনের মধ্যেও নতুনভাবে ক্যান্সার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক