২০ বছরের তরুণের আলোচিত উদ্ভাবন
সাগরের পানিতে মিশে যাওয়া প্লাস্টিক আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু ২০ বছরের এক ডাচ তরুণ বলছেন অন্য কথা৷
প্রতি বছর ৭০ লক্ষ টন
জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি-র হিসেবে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টন প্লাস্টিক আবর্জনা সাগরের পানির সঙ্গে মিশছে৷ মাছেরা অনেক সময় এই সব প্লাস্টিক বর্জ্য খেয়ে ফেলে৷ ফলে এদের মাধ্যমে আমাদের খাবারের প্লেটেও চলে আসছে এই বিষাক্ত পদার্থ৷
ডাচ তরুণের উদ্ভাবন
সাগরে থাকা প্লাস্টিক আবর্জনা পরিষ্কারের উপায় এখন পর্যন্ত কারও জানা নেই৷ কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বোয়ান স্লাট৷ ২০ বছরের এই ডাচ তরুণ একটি উপায় বের করেছেন৷
ফিল্টার
স্লাটের বুদ্ধিটা সাধারণ, কিন্তু কার্যকর৷ সাগর বুকে একটি ফিল্টার বসানো থাকবে৷ আর তার দুই পাশে থাকবে বিম৷ সাগরের স্রোতের সঙ্গে ভেসে প্লাস্টিক আবর্জনাগুলো বিমের সাথে আটকে যাবে৷ পরে সেগুলো সংগ্রহ করা হবে৷ অর্থাৎ স্লাটের বক্তব্য হচ্ছে, প্লাস্টিকের পেছনে না ছুটে প্লাস্টিকই ফিল্টারের কাছে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ ভিডিও: http://bit.ly/1exzYPU
২০১৬ সালে প্রথম
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে অবস্থিত সুশিমা দ্বীপের কাছে আগামী বছর একটি পরীক্ষামূলক ফিল্টার বসানো হবে৷ অন্তত দুই বছর ধরে সেটি আবর্জনা সংগ্রহ করবে৷ স্লাটের মূল পরিকল্পনা, ২০১৯ সাল নাগাদ প্রশান্ত মহাসাগরে পরিষ্কার কাজ শুরু করা৷ ছবিতে ফিল্টারের ছাদে সৌর প্যানেল দেখা যাচ্ছে৷ এই প্যানেল থেকেই ফিল্টারটি প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংগ্রহ করবে৷
শুরুতে অবজ্ঞা
বছর তিনেক আগে স্লাট যখন এক সম্মেলনে প্রথম তাঁর পরিকল্পনার কথা জানান, তখন অনেক বিজ্ঞানী, এভাবে সাগর পরিষ্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ কারণ স্লাট যে সাগরবুকে ফিল্টার আর বিম বসানোর কথা বলছেন সেগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারবে কিনা – তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ তাছাড়া বিমে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রাণীদের জীবন সংকটের মুখে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করছিলেন মেরিন বায়োলজিস্টরা৷
তবে...
বিজ্ঞানীরা প্রশংসা না করলেও সম্মেলনে দেয়া স্লাটের বক্তব্যের ভিডিওটি সেসময় ভাইরাল হয়েছিল৷ ফলে ক্রাউডফান্ডিং এর মাধ্যমে স্লাট প্রায় ২০ লক্ষ ডলার সংগ্রহ করেছিলেন৷ ঐ টাকা দিয়ে স্লাট একটি ফাউন্ডেশন (http://www.theoceancleanup.com/) গড়ে তোলেন, যেখানে এখন প্রায় একশ’ জন কাজ করছেন৷ এদিেক, গত নভেম্বরে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনইপি তাঁকে ‘চ্যাম্পিয়নস অফ দ্য আর্থ’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে৷