1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিডিআর বিদ্রোহ মামলা

সঞ্জীব বর্মন২৩ অক্টোবর ২০১২

গত শনিবার পিলখানার দরবার হলের এজলাসে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শেষ হলো৷ ৭৩৩ আসামির মধ্যে ৭২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/16Ugf
ছবি: Harun Ur Rashid

ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন এই ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন৷ প্রথমেই তিনি মনে করিয়ে দেন, যে বিদ্রোহের মামলার বিচার শেষ হতে চললেও পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের মামলার বিচার চলছে ঢাকার জজ আদালতে৷

Muhammad Sakhawat
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনছবি: DW/Samir Kumar Dey

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিডিআর বিদ্রোহই বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বিদ্রোহ নয়৷ এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ১৯৭২ সালের প্রথম দিকেও তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ করেছিলো৷ তখন বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান নিজে পিলখানায় গিয়ে তার ফয়সালা করেছিলেন৷ বিষয়টি অত্যন্ত নাজুক ও জটিল৷ বিডিআর বা বিডিবি'র গঠন প্রণালি সেই ব্রিটিশ আমলের সময় তৈরি হয়েছিল৷ দেশ আক্রান্ত হলে ৫ মাইল পর্যন্ত এলাকার সুরক্ষার দায়িত্ব ‘সিভিল আর্মড ফোর্সেস'কে দেওয়া হয়েছিল৷ তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব অবশ্য সেনাবাহিনীর হাতে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় মোটামুটি এমনটাই চলে আসছে৷ তবে এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করিয়ে দেন, যে ভারতের বিশাল সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে বিএসএফ ছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অফিসার কাজ করেন৷

শনিবার আদালতের রায়ের ফলে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন না এম সাখাওয়াত হোসেন৷ তাঁর মতে, এই লক্ষ্যে সরকারকে নানা রকম পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবতে হবে৷ ভবিষ্যতে তাদের ক্ষোভ কতটা কমবে, তা রাজনৈতিক সরকারের ‘ম্যাচিউরিটি' বা পরিণত বুদ্ধির উপর নির্ভর করবে৷

পিলখানার হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জনসাধারণকে হতবাক করে দিয়েছিল ও সমগ্র দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একাধিকবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলেও কোনো একটি ঘটনায় এত বড় আকারের রক্তপাত ঘটে নি৷ গোটা উপমহাদেশের ইতিহাসেও এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া কঠিন৷ ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের সময়ও এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখা যায় নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান