1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১১ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার কালীঘাটের কাকু

১ জুন ২০২৩

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি মিডিয়ার সামনে বহু কথা ফাঁস করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

https://p.dw.com/p/4RzMt
কালীঘাটের কাকু
ছবি: Satyajit Shaw/DW

ইডি-র জালে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবেক সহকর্মী এবং তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি ইডি-র সিজিও কমপ্লেক্সের দপ্তরে যান। ১১ ঘণ্টা জেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে তার বাড়িতে ইডি এবং সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনিও যুক্ত বলে অভিযোগ ইডি-র। সেই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তার মুখেই প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম শোনা গেছিল। এছাড়াও অন্য কয়েকজন ব্যক্তিও ইডি এবং সিবিআইয়ের জেরায় কালীঘাটের কাকুর নাম উল্লেখ করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে ইডি এবং সিবিআই আলাদা আলাদা করে সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। মঙ্গলবার ইডি দপ্তরে ঢোকার আগে সুজয় জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্য রাত পর্যন্ত ধরে রাখা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়।

গ্রেপ্তারির পর টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, তদন্তের জাল ক্রমশ গভীরে ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লিখেছেন, বাইরন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের গায়ে লেগেছে। সেই কারণেই কি কালীঘাটের কাকুকে গ্রেপ্তার করা হলো?

এর আগে দুইবার সিবিআই সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। সুজয় একবার হাজিরা দিয়েছিলেন। নথিপত্র সবই তিনি সিবিআইকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মিডিয়ার সামনেও সরব হয়েছিলেন সুজয়। এবার গ্রেপ্তার হলেন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)