1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব: একমত হতে পারলেন না বিচারপতিরা

১৩ অক্টোবর ২০২২

স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিয়ে একমত হতে পারলেন না সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। মামলা সম্ভবত যাবে বৃহত্তর বেঞ্চে।

https://p.dw.com/p/4I7E5
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি। ছবি: DW

একমত হতে পারলেন না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। দুই বিচারপতি আলাদা রায় দিয়েছেন।

বিচারপতি গুপ্তা মনে করেন, কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় বহাল থাকা উচিত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার কোনো প্রয়োজন নেই।

কিন্তু বিচারপতি ধুলিয়ার মতে, মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরবে কি পরবে না, সেটা তাদের পছন্দের উপর ছেড়ে দেয়া উচিত। তার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছে কি না।

এরপর দুই বিচারপতি বিষয়টিকে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছেন।

হিজাব নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত কর্ণাটক সরকারের একটা নির্দেশ নিয়ে। তারা রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে দেয়। হিজাবের পাশাপাশি, গেরুয়া স্কার্ফ থেকে শুরু করে ধর্মীয় অনুসঙ্গ আছে এমন পোশাক পরা বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরই বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রথমে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দেয়। এরপরই মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে। দশদিন ধরে শুনানির পর গতমাসে রায়দান স্থগিত রাখেন দুই বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি গুপ্তা কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে একমত হওয়ার কথা বলার পর জানান, এই বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। বিচারপতি ধুলিয়া বলেন, তিনি এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি আবেদন মেনে নিচ্ছেন। বিচারপতি ধুলিয়া চান, নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যেন কোনো বাধা না হয়।

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় আইনজীবীরা বলেছিলেন, মুসলিম মেয়েদের যদি হিজাব পরতে না দেয়া হয়, তাহলে হয়তো তারা পরে আর ক্লাসে আসবেই না। তাতে তাদের শিক্ষা সুযোগই বন্ধ হয়ে যাবে।

কর্ণাটক সরকারের আইনজীবীদের দাবি ছিল, সরকারের নির্দেশিকার সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগ নেই। যে সব পোশাক সাম্য, অখণ্ডতা ও জনশৃঙ্খলার বিরোধী সেগুলিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয়েছে।

বিচারপতি গুপ্তার রায়

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেছেন, তিনি ১১টি প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথমত, বিষয়টি কি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো দরকার? কলেজ কর্তৃপক্ষ কি পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম ঠিক করার অধিকারী? হিজাব পরা না পরা কি সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধী? সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কি মৌলিক অধিকার ভঙ্গ করছে? হিজাব পরা কি ইসলাম ধর্মের অবশ্য পালনীয় বিষয়? সরকারের সিদ্ধান্ত কি শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে? এরকমই প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গুপ্তা।

বিচারপতি ধুলিয়ার বক্তব্য

বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেছেন, কর্ণাটক হাইকোর্ট ভুল পথে গেছে।তারা অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় অনুশাসনের দিকে গেছে। কিন্তু এটা ভুল পথ। কেউ হিজাব পরবে অথবা পরবে না, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মেয়েদের শিক্ষা।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)