হাসপাতালে কেনাকাটায় ৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাঁতের বিশেষ থ্রিডি এক্স-রে যন্ত্র (ডেন্টাল সিবিসিটি) কেনার উদ্যোগ নেয় ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল৷ এজন্য একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় তারা৷ কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্যখাতের যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী কেনাকাটায় সর্বোচ্চ দামের ধারণা দিয়ে একটি ‘প্রাইস গাইড’ তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ সেই গাইড অনুযায়ী যন্ত্রটির বাজার মূল্য দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা৷ অথচ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল তা কিনেছে প্রায় দ্বিগুণ দামে৷
অতিরিক্ত দাম দেখানোর জন্য একই যন্ত্রকে ভাগ করা হয়েছে তিনটি অংশে৷ এমনকি যন্ত্রের পরিচালনার সফটওয়্যারটিকেও দেখানো হয়েছে আলাদা একটি পণ্য হিসেবে৷ এভাবে এক কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার যন্ত্রের দাম দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকায়৷ এক যন্ত্র কিনতে গিয়েই লোপাট প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ টাকা৷
এরপরও হাসপাতাল আসল যন্ত্র পেয়েছে কীনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷ কার্যাদেশ অনুযায়ী, ডিভাইসটি দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ভাটেক (vatech) ব্র্যান্ডের প্যাক্স আইথ্রিডি স্মার্ট (PaX i3d smart) মডেলের হওয়ার কথা৷ কিন্তু সরবরাহ করা যন্ত্রের ম্যানুয়ালের সঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে থাকা ম্যানুয়ালের মিল নেই৷ এমনকি সেটি কোন দেশের তৈরি সে সংক্রান্ত কোন তথ্যও যন্ত্রের গায়ে পাওয়া যায়নি৷ নেই কোন বারকোড বা কিউআর কোডও৷
এক্ষেত্রে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হলেও এর থেকে রোগীদের কোন সুফল মেলেনি৷ অদ্ভুত হলেও সত্য, বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দিয়ে কেনা মেশিনটি কিভাবে চালাতে হয় হাসপাতালের কেউ তা জানেন না৷
এই বিষয়ে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ডা. জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘‘ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি একা জড়িত নই৷ এই জন্য একটা কমিটি আছে৷ সেই কমিটি সব কাগজপত্র যাচাই করেই যন্ত্রপাতি কেনে৷’’ তবে একই বিষয়ে সরকারি অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজার যাচাইয়ের কোনো প্রমাণ তারা পাননি৷
‘‘যন্ত্রটি কি চালু হয়েছে?,’’ এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদুর বলেন, ‘‘আমি গত ৯ জানুয়ারি এলপিআরে গেছি৷ তার আগে যন্ত্রটি চালু করা হয়েছে৷’’ তবে কবে নাগাদ সেটি চালু করা হয়, তা তিনি মনে করতে পারেননি৷ বর্তমানে হাসপাতালটির পরিচালকের পদে কেউ নেই৷
সাবেক পরিচালক যন্ত্র চালুর কথা বললেও ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. হুমায়ুন কবীর জানালেন উলটো কথা৷ ডয়চে ভেলেকে ডা. কবীর বলেন, যন্ত্র চালুর কথা তিনি শোনেননি এবং এখনও যন্ত্রটি বন্ধ বা অব্যবহৃত অবস্থাতেই আছে৷ হাসপাতালের বিভিন্ন সময়ের কেনাকাটা নিয়ে অভিযোগ আছে উল্লেখ করে সেসব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি৷
করোনা ও হাসপাতালে কেনাকাটা
গত বছর করোনা সংকট শুরুর পর দেশের কয়েকটি হাসপাতালে মাস্কসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়মের ঘটনা ঘটে৷ সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়৷ এমন বাস্তবতায় ঢাকার বড় নয়টি হাসপাতালের কেনাকাটার চিত্র খতিয়ে দেখতেই গত বছরের শেষদিকে বিশেষ এই নিরীক্ষা পরিচালনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অডিট অধিদপ্তর৷ তাতেই ‘গুরুতর আর্থিক অনিয়ম’ ও ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ অসংখ্য উদাহরণ মিলেছে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গত বছর এই হাসপাতালটিকেই সবার আগে বেছে নেয় সরকার৷ এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকেই বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনতে শুরু করে৷ এর মধ্যে আছে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্য এয়ার ফিল্টার, করোনা পরীক্ষার পিসিআর সেট আপ, সিরিঞ্জ পাম্পসহ বিভিন্ন ভারি যন্ত্রপাতি৷ এসব কেনাকাটায় নিয়ম অনুযায়ী বাজার দর বিশ্লেষণ ও আনুষ্ঠানিক হিসাব (অফিসিয়াল এস্টিমেট) অনুমোদনের কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তার কিছুই করা হয়নি৷ প্রায় নয় কোটি টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয় আলী ট্রেডার্স নামের এক প্রতিষ্ঠানকে৷ এমনকি যন্ত্রপাতি সরবরাহের আগেই তাদেরকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে৷ বিভিন্ন যন্ত্রের কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি লোপাট করে চার কোটি টাকার বেশি অর্থ৷
যন্ত্রপাতি সরবরাহের আগেই ঠিকাদারকে টাকা পরিশোধের বিষয়টি অস্বীকার করলেও অতিরিক্ত দামের কথা স্বীকার করেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে দাম কিছু বেশি হতে পারে৷ কিন্তু তখনকার প্রেক্ষিতে আমাদের কিছুই করার ছিল না৷...বেশিকম কিছুটা হয়েছে৷ আর ব্যবসায়ীরা এটা (টাকা বেশি নেয়া) তাদের কিছুটা অধিকার হয়ে গিয়েছিল হয়ত, কারণ তারা করোনার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে৷ তবে ওরা ঠিক করে নাই৷ কিছুটা এদিক সেদিক হয়েছে৷’’ তিনি দাবি করেন, বেশি দামে জিনিস কিনে হলেও করোনার রোগীদের তারা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন৷ তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিবও মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যত টাকাই লাগুক না কেন মানুষকে সেবা দিতে হবে৷ সেই সময়ে তাদের পক্ষে দর বিশ্লেষণ বা দর অনুমোদনের সুযোগ ছিল না৷ তিনি বলেন, ‘‘নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যা এসেছে সেটাও ঠিক, আবার আমরা যেটা করেছি, সময়ের প্রয়োজনে সেটার হয়ত দরকার ছিল৷’’
অবশ্য অতিরিক্ত দামে যন্ত্র কেনার বিষয়ে করোনা পরিস্থিতির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিরীক্ষাতে৷ কারণ, যন্ত্রপাতিগুলো যখন কেনা হয়েছে তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল৷
আরো সাত হাসপাতাল
শুধু এই দুইটি নয়, গত অর্থবছরে রাজধানীর আরো সাতটি সরকারি হাসপাতালের কেনাকাটার চিত্র কমবেশি একই৷ শুধু বাজার মূল্য থেকে বেশি দামে ঔষধ কিনে চারটি হাসপাতাল অতিরিক্ত ব্যয় করেছে এক কোটি ৬১ লাখ টাকা৷ বিভিন্ন এমএসআর পণ্যে বাজার দরের চেয়ে দুই কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করা হয়েছে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী না নিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনায় ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার টাকা৷ এমনকি চাহিদা না থাকার পরও ১১ কোটি ৪১ লাখ টাকার অতিরিক্ত চিকিৎসা সামগ্রী কিনে মজুদ করা হয়েছে৷ যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে এক কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নষ্ট হয়েছে৷ অবাক করা বিষয়- তিনটি হাসপাতাল কোন কিছু না কিনেই খরচ করেছে তিন কোটি ৩১ লাখ টাকা ৷
এছাড়াও যোগসাজশে কেনাকাটা, নিম্ন দরদাতার পরিবর্তে উচ্চ দরদাতার কাছ থেকে কেনা, নিম্নমানের ও ব্যবহার অনুপযোগী পণ্য ক্রয়, ভাণ্ডারে পণ্যের হিসাব না পাওয়া, ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ না করা, এমন কুড়ি ধরনের অনিয়মের উদাহরণ পেয়েছেন নিরীক্ষাকারীরা৷ এভাবে নয়টি হাসপাতাল মোট ৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করেছে মাত্র এক বছরে৷ ৩০৬ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে সরকারি বিধান বা নিয়ম ভেঙ্গে৷ এই নয়টি হাসপাতাল হলো মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ৷
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একবছরের কেনাকাটায় সার্বিকভাবে ৯৫টি আপত্তির কথা উল্লেখ আছে৷৷ এসব কারণে জনগণের বিপুল যে অর্থের অপচয় হয়েছে তা দায়ীদের কাছ থেকে আদায়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে, যা জমা পড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও৷ এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি৷
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘সেসময়ের অনিয়মগুলো নিয়ে দুদকেও তদন্ত চলছে৷ আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে আমরা সেগুলো পাঠাচ্ছি৷ বিভিন্নজনকে তারা তলবও করছে৷’’ এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব অস্বীকারের উপায় নেই উল্লেখ করে ডা. আলম বলেন, করোনা ও টিকা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তাদের অন্যদিকে তাকানোর এতদিন সুযোগ ছিল না৷ ‘‘আপনারা তো জানেন অনিয়মের কারণে কয়েকটি হাসপাতালের পরিচালককে তখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের ব্যাপারে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ অন্য যেগুলো আছে সেগুলো নিয়েও ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এক্ষেত্রে কারো রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই,’’ বলেন তিনি৷
একদিকে অপচয়, অন্যদিকে ঘাটতি
রাজধানীর নয়টি হাসপাতাল মিলে যখন প্রায় ৫৫ কোটি টাকা অপচয় করে তখন দেশের অনেক জেলা বা থানা পর্যায়ের হাসপাতালে অর্থের অভাবে জনগণের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা মিলে না৷ ধরা যাক পঞ্চগড়ের বোদা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা৷ গত ১৮ বছর ধরে সেখানে কোন এক্স-রে মেশিন নেই৷ আগেরটি অকেজো হওয়ার পর নতুন করে আর মেলেনি৷ বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন ডা. রাজিউল ইসলাম রাজু৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন৷ আগের মডেলের একটি এক্স-রে মেশিনের দাম পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা৷ নতুন মডেলের একটি মেশিনের দাম ১৫-১৬ লাখ টাকা৷ আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় এক বছর হল এক্স-রে মেশিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে৷ তিন দফা রিমাইন্ডারও দেওয়া হয়েছে৷ অথচ মেশিনটি না থাকায় এখানকার সাধারণ মানুষকে জেলা সদরে গিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে৷’’
অথচ নয় হাসপাতাল মিলে যা অপচয় করেছে সেই টাকা দিয়ে এমন ৩৬০টি এক্স-রে মেশিন বা একই দামের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী কেনা সম্ভব৷ এমনকি এই টাকা দিয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট দুইটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা যেত, যার মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে কয়েক লাখ নাগরিকের জরুরি সেবা নিশ্চিত হতো৷
এই বিষয়ে টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অবারিত দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্যখাতে একদিকে সেবার মান, অন্যদিকে সেবার পরিমাণ দুটো থেকেই মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে৷ এই চিত্র অত্যন্ত প্রকট৷ এখানে মূল সমস্যা হল অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এই ধরনের দুর্নীতিগুলো হচ্ছে৷’’ চলতি বছর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবনতির এটি অন্যতম কারণ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একটি দেশে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট হওয়া উচিত জিডিপির অন্তত পাঁচ শতাংশ৷ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির হিসাবে বাংলাদেশে তা এক শতাংশেরও কম৷ ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের বরাদ্দ বিব্রতকর ঠিকই কিন্তু শুধু বাজেট বাড়িয়ে এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়৷ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে বরাদ্দ বাড়ালে যারা দুর্নীতি করছে তারা আরো অবৈধ অর্থ ও সম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ পাবে৷
হাসপাতালগুলোর কেনাকাটায় অনিয়মের বিস্তারিত থাকছে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পরবর্তী তিন পর্বে৷