হামাসের হামলা ঠেকাতে হিমসিম খাচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলায় রীতিমতো চমকে গেছে ইসরায়েল৷ ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আগের ধারণাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷
সংগীত উৎসবে হামলা
গাজার কাছেই সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভালে হামলা করে হামাস৷ শনিবার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে ঢুকে পড়ে৷ তাদের জন্য এই উৎসবটি ছিল সহজ টার্গেট৷ কমপক্ষে ২৬০ জন মারা গেছেন সেখানে৷ অনেককে বন্দি করা হয়েছে৷ পরে ইসরায়েলি সেনারা জায়গাটি সুরক্ষিত করে৷
হামাসকে হটানো
ইসরায়েলি সেনারা নিয়মিত ফিলিস্তিনি এলাকায় অভিযান চালায়৷ এসব অভিযানে প্রতিপক্ষের যোদ্ধারা এবং সাধারণ মানুষ মারা যান৷ খুব কমই তাদের একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে৷ কর্তৃপক্ষকে তাই নিজেদের শহরগুলোকে সুরক্ষিত করার ব্যাপারে তেমন প্রস্তুত মনে হয়নি৷ ইসরায়েলি সেনা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে৷
ইসরায়েলি কবর
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধে সাধারণত ফিলিস্তিনে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হয়৷ গেল সপ্তাহান্তে হামাসের হামলা সেই সংখ্যাকে বদলে দেয়৷ মৃতদের মধ্যে ইসরায়েলি সাধারণ মানুষই বেশি ছিলেন৷ ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময়ও একই পরিস্থিতি ছিল৷ ইহুদিদের যেহেতু খুব দ্রুত কবর দেবার নিয়ম, তাই ঘটনার পরপরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷
রক্তদান
ইসরায়েলি ইহুদিদের একটা অংশ ধর্মীয় কর্মে যুক্ত৷ তাদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ তাদের অনেকেই হাসপাতালগুলোতে রক্ত দিতে চলে এসেছেন৷ হাসপাতালগুলোতে কয়েক হাজার আহত ইসরায়েলি ভর্তি হয়েছেন৷
সুদূরপ্রসারী প্রভাব
হামাস ও ইসরায়েলের এই যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব যে শুধু ভূরাজনৈতিকভাবে পড়ে তা নয়, ইসরায়েলে অনেক দূর দেশ থেকে মানুষ আসেন কাজ করতে৷ এদের মধ্যে রয়েছেন থাইল্যান্ডের অনেক মানুষ৷ তাদের অনেককে হামাস যোদ্ধারা মেরে ফেলেছে, বা তুলে নিয়ে গেছে৷ কারো কারো কোন খোঁজই নেই৷
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর অগ্রাধিকার
ইসরায়েলিরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেলেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, কেমন করে কোন সতর্কবার্তা ছাড়াই হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করে৷ তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি বাহিনী দেশের মানুষকে রক্ষা করার চেয়ে ফিলিস্তিনি এলাকা ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক বিতর্কিতভাবে দখল ও সেখানে সেটেলার ইসরায়েলিদের সেবায় লেগে আছে৷
যুদ্ধের প্রস্তুতি
ইসরায়েলের সেনাদের জন্য এখন শোকপালনের সময় নেই৷ তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন৷ ২০০৫-এ যেই গাজা উপত্যকা ছেড়ে এসেছেন, সেখানে আবার ঢোকার প্রস্তুতি নিয়েছেন৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী গাজার মানুষদের এলাকা ছেড়ে যাবার আহ্বান করেছেন, যেটি আসলে তাদের জন্য অসম্ভব, কারণ সব সীমান্ত ইসরায়েল বন্ধ করে রেখেছে৷