1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামাস নেতার হত্যা প্রসঙ্গে জার্মান পত্রপত্রিকা

২০ এপ্রিল ২০০৪

হামাস নেতা আব্দেল আজিজ রানতিসিকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনা বিশ্বের সব বার্তামধ্যমে একটা বড় স্থান করে নিয়েছে৷ এর সম্ভাব্য ফলাফলের ওপর আলোকপাত করেছে জার্মান পত্রপত্রিকাগুলো৷

https://p.dw.com/p/DQ41
ছবি: AP

ক্যোয়েলনার স্টাট আনসাইগার পত্রিকা ভাষ্যকার ইঙ্গে গ্যুনথার রানতিসি নিহত হবার পরপরই ইউরোপে এবং আরব দুনিয়ায় যে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল তাকে শারন মোটেও ভয় পান না৷ একমাত্র মার্কিনীদের কথাই তিনি বিবেচনায় আনেন৷ জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরস্থ বসতির ওপর ইস্রায়েলী নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখার গ্যারান্টি নিয়ে একমত হয়েছেন তিনি সদ্য জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে৷ ওয়াশিংটন জানতো যে ইস্রায়েলের নিধন-তালিকার একেবারে ওপরে ছিল রানতিসি-র নাম৷ একটা প্রশ্ন বুশ আর শারনকে অবশ্যই করতে হয় এবং তা হল - ফিলিস্তিনী জনগণ যদি বিপুল সংখ্যায় হামাসের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আদৌ কিকরে সম্ভব হবে৷

ভাষ্যকার ইঙ্গে গ্যুন্থার রানতিসি-হত্যার সম্ভাব্য ফলাফল প্রসঙ্গে লিখেছেন:

স্থায়ী কোন শান্তি এর ফলে আসবে না৷ রাজনৈতিক সমাধানও আরো দূর অস্ত্৷ প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনী পক্ষে কোন আলোচনা সহযোগী শারনের মোটেও কাম্য নয়৷নিজের খেয়াল খুশিমত একটি সমাধান তৈরি করার জন্য এককভাবে পদক্ষেপ নেয়াই হল তাঁর অভীষ্ট নীতি৷ অথচ ইস্রায়েলকে শেষ অব্দি মধ্যপন্থী ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে একটা সহযোগিতায় আসতেই হবে৷ তার কারণ, গাজা ভূখন্ড থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার পর ক্ষমতার কাঠামোয় যে-শূণ্যতা সৃষ্টি হবার হুমকি দেখা দেবে, সেই শূণ্যতা যাতে উগ্র ইসলামপন্থীদের দ্বারা পূরণ না হয়৷ রানতিসির হত্যাকান্ড কিন্তু এই হুমকিটা দূর করল না৷ বিশেষ করে ফিলিস্তিনী শিবিরের শান্তিকামী অংশটি অকার্যকর হয়ে পড়ল আরো বেশি করে৷ গাজা এবং একই সাথে পশ্চিম জর্ডানে প্রতিহিংসার পারদ এখন বিপজ্জনকভাবে বেড়ে ওঠায় যুক্তির কন্ঠস্বরের কোন সুযোগই রইল না৷ আজ হোক কাল হোক শারনকে এবং ইস্রায়েলীদেরও এর জন্য চড়া মুল্য দিতে হতে পারে৷

ক্যোয়্লনিশে রুন্ডশাউ

মধ্যপ্রাচ্যে সপ্তাহান্তের ঘটনায় হিংসার বৃত্তটাকে বড় আকারের এক বিস্ফোরণের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দিল বিপজ্জনকভাবে৷ ইসরায়েল সরকার আশা করছে , হামাস নেতা রানতিসিকে হত্যার যে পদক্ষেপ নেয়া হল, এধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে কোন এক সময় ফিলিস্তিনী সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে৷ কিন্তু গত এক দশকের ট্র্যাজিক অভিজ্ঞতা থেকে তার বিপরীত প্রমাণই মেলে৷ আসলে দু পক্ষই যদি হিংসার পথ পরিহার করে তিক্ত সত্যের মুখোমুখী হতে প্রস্তুত থাকে, তাহলেই আশার সন্চার হতে পারে৷

নয়েস ডয়েচলান্ড

টাইম বোমা ফাটার আগেই নিষ্কৃয় করতে হবে, হামাস নেতা রানতিসিকে চিরকালের মত পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পর ইসরায়েল এই সহজ যুক্তিটাই দেখিয়েছে৷ এটা খুবই বিপজ্জনক যুক্তি৷ কোন রকম আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে এই-যে হত্যাকান্ড চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এভাবে শারন সরকার আন্তর্জাতিক আইনের সব বিধি নিয়ম ভঙ্গ করছে৷ তাতে শারনের কিছু এসে যায় না৷ তিনি তো গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজ থেকে সায় দেয়া চিঠি পেয়ে গেছেন৷

আবদুল্লাহ আল ফারূক